
ছবি: সংগৃহীত
ধূমপান এবং তামাক ব্যবহারই ফুসফুস ক্যানসারের প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচিত হলেও, সাম্প্রতিক গবেষণাগুলো বলছে, বাড়তে থাকা বায়ুদূষণ এবং পরিবেশ দূষণের দীর্ঘমেয়াদি সংস্পর্শ এই মরণব্যাধির ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দিচ্ছে।
এইচটি লাইফস্টাইলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই তথ্য জানিয়েছেন ড. ইন্দু অম্বুলকর, পরিচালক (মেডিকেল অনকোলজি), HCG ক্যানসার সেন্টার, বোরিভালি। তিনি বলেন,
“বায়ুদূষণ একাই বিশ্বে ফুসফুস ক্যানসারজনিত মৃত্যুর প্রায় ২৯% জন্য দায়ী। ইনডোর দূষণজনিত মৃত্যুহার কমলেও, তার চেয়ে দ্রুতগতিতে বেড়েছে আউটডোর দূষণের প্রভাব।”
প্রতিদিনের যাতায়াত কি চুপিসারে বাড়িয়ে দিচ্ছে ঝুঁকি?
ড. অম্বুলকরের মতে, হ্যাঁ। বিশেষত যারা দীর্ঘসময় ধরে ট্র্যাফিকজ্যামে আটকে থাকেন বা গাড়ির ধোঁয়ায় ভর্তি এলাকায় চলাফেরা করেন, তাদের ঝুঁকি অনেক বেশি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-এর মতে, ডিজেল এক্সহস্ট, PM2.5, নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড-এর মতো উপাদানগুলো ক্যানসারসৃষ্টিকারী। এগুলো নিঃশ্বাসের মাধ্যমে ফুসফুসে প্রবেশ করে কোষের ডিএনএ পরিবর্তন করে দেয়, যার ফলে ক্যানসার হতে পারে।
প্রতিরোধে কী করবেন?
ড. অম্বুলকর এমন কিছু সহজ প্রতিরোধমূলক পরামর্শ দিয়েছেন, যা মেনে চললে ঝুঁকি অনেকটা কমানো সম্ভব:
✅ ভ্রমণের সময় উন্নত মানের মাস্ক ব্যবহার করুন
✅ গাড়ির এয়ার ফিল্টার পরিষ্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ করুন
✅ সম্ভব হলে কম ভিড়ের রুট বা সময় বেছে নিন
✅ পরিবেশবান্ধব গণপরিবহন ব্যবহার এবং প্রচারে সক্রিয় হোন
✅ ঘরে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন
✅ উচ্চ ঝুঁকিতে থাকলে নিয়মিত ফুসফুস পরীক্ষা করান
এই তথ্য শুধুমাত্র সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য। কোনো ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।
আঁখি