ছবি: সংগৃহীত।
অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে শুধুমাত্র সামাজিক ও যোগাযোগ দক্ষতায় জটিলতা নয়, বরং বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ও মানসিক জটিলতাও দেখা দেয় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। অটিজম আক্রান্ত শিশুরা অনেকেই অতিরিক্ত অস্থিরতা, ঘুমের ব্যত্যয়, সংবেদনশীলতা, এমনকি খিচুনির মতো সমস্যায়ও ভুগতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অটিজমে আক্রান্ত কিছু শিশু বুদ্ধিপ্রতিবন্ধিতার সঙ্গেও জড়িত থাকতে পারে। অনিয়মিত ঘুম এক বড় সমস্যা—তারা রাতজেগে থাকে, আবার দিনে প্রয়োজনীয় ঘুম পায় না। কখন জেগে থাকবে আর কখন ঘুমাবে—সেই স্বাভাবিক চক্রটি অনেক সময় তাদের মধ্যে থাকে না।
এছাড়াও, অনেক অটিস্টিক শিশু অন্ধকার, বদ্ধ জায়গা বা উচ্চতা নিয়ে আতঙ্কে ভোগে। লিফটে উঠতে, চুল বা নখ কাটতে, দাঁত ব্রাশ করতে না চাওয়াও তাদের আচরণের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এমনকি দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত ঘরের যন্ত্রপাতির শব্দ, যেমন ব্লেন্ডার বা মাইক্রোওভেনের শব্দও তাদের অতিরিক্ত সংবেদনশীল করে তোলে। ড্রিল মেশিনের মতো উচ্চ শব্দও তাদের অস্বস্তিতে ফেলে।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, অনেক অটিজম শিশুদের ভেস্টিবুলার সমস্যা (ভারসাম্য রক্ষার সমস্যা) থাকতে পারে। সবচেয়ে উদ্বেগজনক দিক হচ্ছে, এই শিশুদের একটি অংশে পরবর্তীতে এপিলেপসি বা খিচুনির প্রবণতা দেখা দেয়। যদিও প্রাথমিক বয়সে এটি না-ও দেখা দিতে পারে, তবে কৈশোরে পা দেওয়ার পর অনেকের মধ্যেই খিচুনির উপসর্গ দেখা যায়।
অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের এ ধরনের জটিলতা সমাধানে প্রয়োজন সময়োপযোগী চিকিৎসা, পর্যবেক্ষণ এবং বিশেষ যত্ন। বিশেষজ্ঞরা অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, এই সমস্যা গুলোকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করে পেশাদার চিকিৎসা পরামর্শ গ্রহণ করার জন্য।
মিরাজ খান
