ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২

আবাসিক হোটেলে যে কাজগুলো করা একেবারেই উচিত নয়

প্রকাশিত: ০৬:০৪, ২৬ জুন ২০২৫

আবাসিক হোটেলে যে কাজগুলো করা একেবারেই উচিত নয়

ছবি: সংগৃহীত।

ভ্রমণ বা কাজের প্রয়োজনে অনেকেই আবাসিক হোটেলে অবস্থান করে থাকেন। হোটেল রুম আমাদের সাময়িক বাসস্থান হলেও এটি কখনোই ব্যক্তিগত বা সম্পূর্ণ নিরাপদ জায়গা নয়। তাই কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা অত্যন্ত জরুরি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আবাসিক হোটেলে কিছু অভ্যাস বা কাজ এড়ানো উচিত, যা আপনার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।

চলুন জেনে নিই, হোটেল রুমে অবস্থানকালে কোন কাজগুলো কখনোই করা উচিত নয়:

১. দরজা ও জানালার নিরাপত্তা উপেক্ষা করা:
অনেকেই হোটেল রুমে ঢুকে দরজা ঠিকভাবে লক না করে রাখেন, যা নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। রাত্রিতে ঘুমানোর আগে দরজায় ডেডবোল্ট ও সিকিউরিটি চেইন নিশ্চিতভাবে লাগিয়ে রাখার পরামর্শ দেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা।

২. অপরিচিত কারও রুমে প্রবেশ করা বা নিজের রুমে ঢোকানো:
হোটেলে অপরিচিত কারো সঙ্গে বন্ধুত্ব করে তাদের নিজের রুমে নিয়ে আসা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। অনেক অপরাধ এভাবে সংঘটিত হয়ে থাকে।

৩. মূল্যবান জিনিসপত্র উন্মুক্তভাবে রেখে যাওয়া:
ল্যাপটপ, টাকা, গয়না কিংবা গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট খোলা অবস্থায় রেখে বাইরে যাওয়া অনুচিত। এগুলো হোটেল রুমে রাখা সেফ বা নিজস্ব ব্যাগে তালা মেরে রাখা ভালো।

৪. হোটেলের ওয়াইফাইয়ে ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়া:
হোটেলের উন্মুক্ত Wi-Fi ব্যবহার করে ব্যাংকিং, অনলাইন শপিং বা পাসওয়ার্ড সংক্রান্ত কাজ এড়িয়ে চলুন। এগুলো হ্যাকিং ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

৫. বিছানার চাদর বা তোয়ালে না বদলে ব্যবহার করা:
প্রথমবার হোটেল রুমে ঢুকে বিছানার চাদর, বালিশ কাভার বা তোয়ালে ব্যবহার করার আগে হাউসকিপিংয়ের মাধ্যমে তা পরিষ্কার করিয়ে নেওয়া নিরাপদ।

৬. ধূমপান বা আগুন লাগার ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করা:
অনেক হোটেলে ধূমপান নিষিদ্ধ। এতে জরিমানা বা অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি থাকতে পারে। নিজের নিরাপত্তার পাশাপাশি অন্যদের সুরক্ষাও হুমকিতে পড়ে।

৭. খাবার বাইরে রেখে ঘুমানো:
খাবার খোলা অবস্থায় রেখে ঘুমানো বা বাইরে রাখা পচনশীল খাবার খাওয়া বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার জন্ম দিতে পারে, যা স্বাস্থ্যহানির কারণ হতে পারে।

তাই হোটেল রুমে প্রবেশের সময় সিসিটিভি, অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ও জরুরি এক্সিট পথ সম্পর্কে অবগত থাকুন। হোটেলের কর্মচারীদের সাথে শিষ্টাচার বজায় রাখুন, তবে অতিরিক্ত তথ্য শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন। প্রয়োজনে হোটেল রিসেপশন বা নিরাপত্তা অফিসারের সঙ্গে যে কোনো সমস্যা শেয়ার করুন।

হোটেল জীবন আরামদায়ক হলেও নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সচেতনতা জরুরি। সামান্য অসতর্কতা বড় ধরনের বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই হোটেলে অবস্থানকালীন এই বিষয়গুলো মেনে চলা প্রতিটি ভ্রমণকারী বা অতিথির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

মিরাজ খান

×