
সংগৃহীত
বিশ্ব রাজনীতিতে ইসরায়েল সবসময়ই বিতর্ক ও সমর্থনের কেন্দ্র বিন্দুতে। ফিলিস্তিন ইস্যুতে একদিকে যখন মুসলিম দেশগুলোর সমর্থন পাচ্ছে ফিলিস্তিন, ঠিক তখনই বিশ্বের একাধিক শক্তিধর দেশ প্রকাশ্যেই সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলকে।
বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, জার্মানি, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলো কূটনৈতিক,সামরিক ও প্রযুক্তিগত ভাবে ইসরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে অনেকেই জাতিসংঘে ইসরায়েল বিরোধী প্রস্তাবেও ভেটো দিয়ে থাকে।
ইসরায়েলের সবচেয়ে বড়ো ও নির্ভরযোগ্য মিত্র হলো যুক্তরাষ্ট্র। প্রতি বছর বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা ছাড়াও নিরাপত্তা, গোয়েন্দা ও প্রযুক্তি খাতে দুই দেশের মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে।
ভারতের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্কও দিন দিন ঘনিষ্ঠ হচ্ছে। সামরিক প্রযুক্তি, কৃষি, পানি ব্যবস্থাপনা ও সাইবার সিকিউরিটির মতো খাতে দুই দেশের গভীর সহযোগিতা চলছে।
জার্মানি ও কানাডা ইসরায়েলের অস্তিত্ব ও আত্মরক্ষার অধিকারের প্রশ্নে বরাবরই তাদের পাশে দাঁড়ায়। যদিও ফিলিস্তিনি প্রশ্নে কিছু সমালোচনা থাকে, তবুও মূল বন্ধুত্ব অটুট।
অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্যও ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত। অনেক সময় তারা মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়ায় ইসরায়েলের পক্ষে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।
এছাড়া, হাঙ্গেরি, চেক প্রজাতন্ত্র, ব্রাজিল ও আজারবাইজান ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ কূটনৈতিক বন্ধু।আজারবাইজান ইসরায়েল থেকে অস্ত্র কেনে, আবার ইসরায়েল আজারবাইজান থেকে তেল আমদানি করে।
আফ্রিকার কিছু দেশ যেমন কেনিয়া, উগান্ডা, রুয়ান্ডা এবং ল্যাটিন আমেরিকার দেশ যেমন আর্জেন্টিনা, কলম্বিকা ও চিলি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য ও প্রযুক্তি খাতে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যের দ্বন্দ্বে কেবল ধর্মীয় নয়, কৌশলগত ও অর্থনৈতিক স্বার্থও বড়ো ভূমিকা রাখছে। ফলে ইসরায়েলের পাশে দাঁড়ানো দেশগুলোর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
হ্যাপী