ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২

আন্তর্জাতিক মাদক দিবস আজ

নতুন মাদকে ঝুঁকছেন বিত্তবানরা

আজাদ সুলায়মান

প্রকাশিত: ০০:২৯, ২৬ জুন ২০২৫

নতুন মাদকে ঝুঁকছেন বিত্তবানরা

আন্তর্জাতিক মাদক দিবস আজ

র‌্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও পুলিশ সক্রিয় সীমান্তে। উদ্দেশ্য মাদক পাচার ঠেকানো। অথচ এতসব বাঘা বাঘা সংস্থা অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে থাকলেও কিছুতেই ঠেকানো যাচ্ছে না মাদকের আগ্রাসন। প্রতিদিন, প্রতি সপ্তাহ, প্রতিমাস ও প্রতিবছর জুড়েই দেশে আসছে ইয়াবার বিশাল বিশাল চালান। কি সমুদ্র, কি স্থলবন্দর, কিংবা আকাশপথ- কোনোটাই থেমে নেই। সবপথ সব গেট পেরিয়েই দেশে ঢুকছে ইয়াবার মতো ভয়ঙ্কর মাদকের চালান।

দেশে এখনো পর্যন্ত মাদকের আগ্রাসন বলতে সবার শীর্ষে ইয়াবাকেই বিবেচনা করা হয়। তারপর ফেন্সিডিলের প্রভাব। হালে যোগ হয়েছে কোকেন। আর এসবের ভোক্তা হচ্ছে-এদেশেরই নারী-পুরুষ, আবালবৃদ্ধবনিতা। মাদক বিভাগের হিসেবে দেশে কমপক্ষে ৮০ লাখ মাদকসেবী রয়েছে। তাদের আশিভাগই ইয়াবা আসক্ত। সে জন্য বিগত ২০২৪ সালেই দেশে ইয়াবা আসে ২ কোটি ২৪ লাখ। আর এ বছরের  গত মাস পর্যন্ত দেশে ইয়াবা ধরা পড়েছে  ১ কোটি ৮০ লাখ। ধারণা করা হচ্ছে বছর শেষে সেটা তিন কোটিতে গিয়ে ঠৈকবে। অথচ সরকারের কোনো সংস্থা কিংবা কোনো ম্যাকানিজমই মাদক নিয়ন্ত্রণে কিছুই করতে পারছে না। মাদক নিয়ন্ত্রণে সরকারি সংস্থা  মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এখন যেন ঠুঠো জগন্নাথে পরিণত হয়েছে। 
এমনই এক হতাশাব্যঞ্জক অবস্থায় আজ পালন করা হচ্ছে- আন্তর্জাতিক মাদক দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আজ দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে দিবসটি। এ বছর জাতিসংঘের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- “দ্য এভিডেন্স ইজ ক্লিয়ার, ইনভেস্ট ইন প্রিভেনশান, ব্রেক দ্য সাইকেল, স্টপ অর্গানাইজড ক্রাইমস।’
উল্লেখ্য জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ১৯৮৭ সালের ৭ ডিসেম্বর  সিদ্ধান্ত নেয় যে, প্রতিবছর ২৬ জুন আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস (মাদকদ্রব্য অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস ) পালন করা হবে। সেই থেকে চলছে এটা। দিবসটির মতে- বিভিন্ন দেশের মানুষের মধ্যে মাদকদ্রব্য গ্রহণের এবং অপব্যবহার করার প্রবণতা যেভাবে বেড়েছে তা সত্যিই উদ্বেগের বিষয়।

সামাজিক সুস্থতা বজায় রাখতে, মানুষকে মাদকের কুপ্রভাব থেকে মুক্ত করতে এই দিবস আরও সচেতন করে। এই দিবসের মূল লক্ষ্য হলো বিশ্বকে মাদক মুক্ত করে তোলা। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রয়াস ও সহযোগিতাকে আরও নিবিড় করে তুলতে প্রতি বছর ২৬ জুন আন্তর্জাতিক মাদক বিরোধী দিবস উদযাপন করা হয়।
এবারও বাংলাদেশে ব্যাপক আকারে দিবসটি পালনের নানা  আয়োজন রয়েছে। এ উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বিশেষ বাণী প্রদান করেছেন। বাণীতে উল্লেখ করা হয়েছে- ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। মাদকের পাচার ও অপব্যবহার একটি বহুমুখী ও জটিল সমস্যা। আমাদের যুব সমাজের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ আজ মাদকের কবলে পড়ে মেধা ও সৃজনশীলতা হারিয়ে ফেলছে। মাদকের অপব্যবহারের ফলে জনস্বাস্থ্য ও অর্থনীতিসহ জীবন ঘনিষ্ঠ বিভিন্ন উপাদান ও সূচকের ওপর চরম নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। বিঘিœত হচ্ছে দেশের শান্তি ও নিরাপত্তা।

এদিকে মাদক নিয়ন্ত্রণ যে খুব চ্যালেঞ্জিং একটা কাজ সেটাও স্বীকার করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, দুটি জিনিস আমরা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারিনি- একটি হলো মাদক আরেকটি দুর্নীতি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো, কিন্তু মাদক আমরা কমিয়ে এনেছি এটা আমি কোনোদিন বলিনি। আপনাদের সাহায্য-সহযোগিতা দরকার, এটা কমিয়ে আনতে হবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, আমাদের দুটো বড় শত্রু। এক নম্বর দুর্নীতি এবং আরেকটি হলো মাদক। মাদক থেকে কীভাবে আমরা মুক্ত হতে পারি, এই সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করতে হবে। মাদকসেবীদের সংখ্যা যেন ধীরে ধীরে পুরোপুরি কমে আসে। যেভাবেই হোক আমাদের সমাজ থেকে মাদককে উচ্ছেদ করতে হবে।
এদিকে দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে আজ ঢাকাসহ দেশব্যাপী মাদকের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায়-রমনা পার্কের পূর্ব পাশে মাদকবিরোধী র‌্যালি ও মানববন্ধনের ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনের আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণী করা হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী,।

থাকবেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি ও মাদকের ডিজি মো. হাসান মারুফ। এ সময় মাদকের থিম সং,  মাদকের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী ডকুমেন্টারি প্রকাশ, মাদকাসক্তি থেকে মুক্ত ব্যক্তির কাহিনী, বার্ষিক রিপোর্টের মোড়ক উন্মোচন, বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের সনদপ্রদান ও শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করা হবে।
মাদক দিবসে দেশে মাদকের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে একজন মাদক কর্মকর্তা জানান, মাদকবিরোধী অভিযান চললেও থামছে না মাদক পাচার। আন্তর্জাতিক মাদক মাফিয়াদের চোখ এখনো বাংলাদেশের দিকে। বিদেশ থেকে নিষিদ্ধ মাদক হেরোইন ও কোকেন এনে অভ্যন্তরীণ বাজার তৈরি করছেন তারা। এ চক্রের শতাধিক শীর্ষ কারবারি এখনো অধরা। বিশেষ করে  ৫ আগস্টের পর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে দেশি বিদেশি চক্র।

অতীতের চেয়েও করিডর হিসেবে বাংলাদেশকে ব্যবহারের দিকে বেশি নজর তাদের। সর্বশেষ ৩ নভেম্বর সীমান্তবর্তী বেনাপোলে ট্রেনে তল্লাশি চালিয়ে একটি ব্যাগ থেকে ২ দশমিক ৭৬০ কেজি কোকেন ও ১ কেজি ৬৯২ গ্রাম হেরোইন জব্দ করে বিজিবি। এ ছাড়া সম্প্রতি আরও কয়েকটি মাদকের চালান আটকের ঘটনা ঘটেছে। এর বেশিরভাগই এসেছে অভিনব কৌশলে। ট্রেনের পাশাপাশি অ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেট কার, পণ্যের ভেতর এমনকি পেটের ভেতরে করেও ইয়াবা পাচারের ঝুঁকি নিচ্ছেন কারবারিরা।

অল্প বিনিয়োগে বিপুল আর্থিক লাভের আশায় জীবন বাজি রেখে এ ধরনের কাজ করছেন তারা। ইয়াবার পাশাপাশি ক্রিস্টাল মেথ, আইস, হেরোইন ও কোকেনের মতো ভয়ঙ্কর মাদকও নিয়মিত আসছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশকে ব্যবহার করে তা চলে যাচ্ছে পাশের একটি দেশে।
দেশে মাদকের সার্বিক পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর। দেশে প্রচলিত মাদকগুলোর মধ্যে ইয়াবা এখন সবচেয়ে ভয়ঙ্কর মাদক। যে একবার এই ইয়াবায় আসক্ত তার জীবন, তার পরিবার শেষ হয়ে যায়। তাই ইয়াবার বিস্তার ঠেকানো জাতির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ইদানীং তার সঙ্গে যোগ হয়েছে কোকেন ও আইস (ক্রিস্টাল মেথ)। মাদক শুধু ব্যক্তি নয়, পুরো পরিবারকে ধ্বংস করে দেয়। একজন আসক্ত ব্যক্তির কারণে পরিবারে সৃষ্টি হয় অর্থনৈতিক সংকট, পারস্পরিক অবিশ্বাস ও সহিংসতা। মাদকাসক্ত পরিবারের সদস্য আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে বা অপরাধমূলক কর্মকা-ে জড়িয়ে পড়ছে।

শিশু-কিশোরদের ভবিষ্যৎ হয়ে পড়ছে অন্ধকারাচ্ছন্ন। মানসিক স্বাস্থ্য হ্রাস, আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি ও সমাজবিচ্ছিন্নতা তৈরি করছে একটি বিপথগামী প্রজন্ম। সবচেয়ে দুশ্চিন্তার বিষয় হচ্ছে- মাদকের চিত্র ক্রমেই ভয়াবহ হয়ে উঠছে। ইয়াবা, ফেন্সিডিল, গাঁজা, আইস ও হেরোইনের বিস্তার রাজধানী থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও পৌঁছে গেছে। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী এলাকা ও চোরাচালান রুটগুলোকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে এক ভয়ানক মাফিয়া চক্র।

রাজনৈতিক প্রশ্রয়, প্রশাসনিক দুর্বলতা ও বিচারহীনতা এই সংকটকে আরও গভীর করেছে। তরুণ ও শিক্ষার্থী সমাজের মধ্যে মাদকের ব্যবহার আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। আইন থাকলেও এর সঠিক প্রয়োগে রয়েছে ঘাটতি, ফলে অনেক ক্ষেত্রেই অপরাধীরা শাস্তি এড়িয়ে যাচ্ছে। বিদায়ী ২০২৪ সালে ডিএনসিসহ সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ২ কোটি ২৮ লাখেরও বেশি ইয়াবা জব্দ করে। তবে চলতি ২০২৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত মাত্র চার মাসে এ মাদক জব্দ হয় ১ কোটি ৩৮ লাখেরও বেশি।

এর আগে ২০২৩ সালে ৪ কোটি ২৯ লাখ, ২০২২ সালে ৪ কোটি ৫৮ লাখ এবং ২০২১ সালে ৫ কোটি ৩০ লাখ পিসের বেশি ইয়াবা জব্দ করা হয়। যদিও এ সংখ্যা আরও বেশি বলে ধারণা করা হয়। দেশের ভেতর ইয়াবার যে পরিমাণ চালান জব্দ করা হয়, প্রবেশের পরিমাণ তার আরও অন্তত কয়েকগুণ বেশি, যা ছড়িয়ে পড়ছে দেশের মাদকসেবীদের হাতে। সৃষ্টি হচ্ছে নতুন সেবনকারীও।  জানা গেছে, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি, টেকনাফ, উখিয়া ও বান্দরবানের পার্বত্য অঞ্চলসহ অন্তত ৩৫টি পয়েন্ট দিয়ে ঢুকছে ইয়াবার চালান।

বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো জানলেও  কার্যকর নজরদারি নেই। চোরাকারবারিরা এসব রুটের পাহাড়ি পথ, সীমান্তের ফাঁকফোকর এবং খাল ও নৌপথ ব্যবহার করে নিয়মিত চালান আনছে। অভিযোগ রয়েছে পুলিশসহ সীমান্তে মোতায়েনকৃত বিভিন্ন সংস্থা ও রাজনীতিকদের যোগসাজশেই আসছে ইয়াবা মতো মরণনেশা।
মাদক রোধে সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরগুলোর কর্তারা বলছেন, ইয়াবার চোরাচালান ও ব্যবহার ঠেকাতে যখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসন ব্যস্ত, তখন সেই সুযোগে আন্তর্জাতিক চক্র ও দেশের অভ্যন্তরীণ মাদক কারবারিরা উচ্চবিত্ত-মধ্যবিত্ত শ্রেণির কিছু অংশকে টার্গেট করে ছড়িয়ে দিচ্ছে কোকেন। একসময় বাংলাদেশকে ভয়ঙ্কর এ মাদক পাচারের জন্য রুট হিসেবে ব্যবহার করা হলেও এখন দেশেই দিন দিন এর সেবনকারী বাড়ছে, যা বড় উদ্বেগের। বিশেষ করে দেশে মাদকসেবীর সংখ্যা কি পরিমাণ সেটাও অজানা। কেউ বলছে, দেড় কোটি। কিংবা কোটির বেশি।

জানতে চাইলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান ও অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ বদরুদ্দীন বলেন এত হবে না। আমাদের জানামতে- এ সংখ্যা ৮০ লাখের বেশি নয়। এক সময় ছিল ফেনসিডিলের দাপট। তারপর শুরু হয় ইয়াবার আগ্রাসন। আর এখন কোকেনের অপব্যবহারও আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। এ ছাড়া এলএসডির মতো মাদকের অপব্যবহারও শুরু হয়েছে, যা শঙ্কার কারণ।
এদিকে মাদকসেবীদের কাছে ইয়াবার পাশাপাশি কোকেনও বেশ কদর পাচ্ছে। ইয়াবার পরিবর্তে বিত্তবানরা ঝুঁকছেন কোকেনের ওপর। এ জন্যই কোকেনের পাচারও বাড়ছে। বড় বড়  চালানও ধরা পড়ছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে  ২০১৫ সালে ২ কেজি কোকেনসহ পেরুর এক নাগরিককে গ্রেপ্তারের পর এ মাদক নিয়ে তোলপাড় হয়। এরপর কোকেনের পাচার কিছুটা থামলেও গত বছরের জানুয়ারিতে ফের ঢাকায় বিমানবন্দরে প্রায় সাড়ে আট কেজি কোকেনসহ মালাউইর এক নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়।

একই বছর চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ধরা পড়ে তিন কেজি ৯০০ গ্রাম কোকেনের একটি চালান। ২০২৩ সালে পুরো বছরে দেশে ১৩ কেজি ৩ গ্রাম কোকেন জব্দ হয়, তবে পরের বছরই জব্দের তালিকায় তা ১৩০ কেজিতে দাঁড়ায়। এ ছাড়া চলতি বছর প্রথম চার মাসে ১০ কেজির বেশি কোকেন জব্দ হয়। সীমান্ত এলাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ভয়ঙ্কর এ মাদকের চালান জব্দ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

×