
সংবিধানের মূলনীতি এবং সাংবিধানিক পদগুলোতে চূড়ান্ত ঐকমত্যে আসতে পারেনি
সংবিধানের মূলনীতি এবং সাংবিধানিক পদগুলোতে নিয়োগের বিষয়ে চূড়ান্ত ঐকমত্যে আসতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলো। আপত্তির কারণে জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনের প্রস্তাব থেকে সরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বিকল্প একটি প্রস্তাব দিলেও দিনভর আলোচনায় সবাইকে ঐকমত্যে পৌঁছানো যায়নি। তবে তিনটি দল ছাড়া প্রায় সব দলই একজন ব্যক্তির প্রধানমন্ত্রী পদে সর্বোচ্চ ১০ বছর (দুই মেয়াদ নয়) ক্ষমতায় থাকার পক্ষে একমত হয়েছে।
বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের ষষ্ঠ দিনের আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এমন মতামত ব্যক্ত করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
ঐকমত্যে পৌঁছানোর স্বার্থে প্রস্তাবিত জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিলের (এনসিসি) নাম পরিবর্তন করে ‘সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগে কমিটি’ গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর গঠন প্রক্রিয়াতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। অধিকাংশ রাজনৈতিক দল এই প্রস্তাবে একমত হলেও বিএনপিসহ কয়েকটি দল আপত্তি জানিয়েছে। বিএনপি জানিয়েছে, এনসিসি না হলে একজন ব্যক্তির প্রধানমন্ত্রী পদে সর্বোচ্চ ১০ বছর থাকার বিষয়ে তারা সম্মত।
একইভাবে সংবিধানের মূলনীতির প্রশ্নেও তাদের মধ্যে দ্বিধাবিভক্তি লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে বাহাত্তরের সংবিধানের চার মূলনীতির মধ্যে দুটির সংশোধনীতে দুই শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। বিদ্যমান চার মূলনীতি জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার মধ্যে জাতীয়তাবাদ ও গণতন্ত্র নিয়ে তেমন বিরোধ না থাকলেও অপর দুটি সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে দ্বিমত রয়েছে ডান ও বাম দলগুলোর।
ডান দলগুলোর যুক্তি, সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশ হিসেবে সংবিধানে এ দুটি মূলনীতি থাকতে পারে না। অথবা শব্দগত পরিবর্তন করতে হবে। অপরদিকে বাম দলগুলোর অভিমত এই চার মূলনীতির সঙ্গে প্রয়োজনে নতুন কিছু সংযুক্ত করতে তাদের আপত্তি নেই। তবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে জড়িত ৭২-এর সংবিধানে হাত দেওয়ার সুযোগ নেই।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে বুধবারের বৈঠকে কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক. ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান ও ড. মো আইয়ুব মিয়া উপস্থিত ছিলেন। বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)সহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের নেতারা বুধবারের বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠক শেষে ব্রিফিংকালে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এনসিসি প্রস্তাব থেকে সরে এসেছে। নতুন প্রস্তাবিত কাঠামোতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) এর পরিবর্তে ‘সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটি’ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ কমিটি শুরু সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করবে। অ্যাটর্নি জেনারেল ও তিন বাহিনীর প্রধানের নিয়োগ এ কমিটির অন্তর্ভুক্ত হবে না।
কমিশনের সহ-সভাপতি জানান, বুধবারের আলোচনায় রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি এবং প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। রাষ্ট্র পরিচালনার বিদ্যমান মূলনীতি অটুট রাখার বিষয়ে কয়েকটি দল মত দিয়েছে, আবার কিছু দল ভিন্নমতও পোষণা করেছে। তাই এ বিষয়ে কোনো ঐকমত্য হয়নি। তবে, সাম্য ও মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার, গণতন্ত্র, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সম্প্রীতি- এ পাঁচ বিষয়ে অধিকাংশ দলের সমর্থন রয়েছে।
তিনি বলেন, যেহেতু সংবিধান এবং সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তে এখনো উপনীত হওয়া যায়নি. তাই প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ বিষয়ে চূড়ান্তে সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যাচ্ছে না।
বৈঠক শেষে যা বললেন রাজনৈতিক দলের নেতারা ॥ বৈঠক শেষে ব্রিফিংকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ লাইফটাইমে ১০ বছরের বেশি থাকবে না, এ বিষয়ে আমরা একমত। তবে সাংবিধানিক নিয়োগ কমিটির মাধ্যমে নির্বাহী বিভাগকে যদি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা হয়, তবে সেটা আমরা সমর্থন করব না।’
তিনি বলেন, ‘এক ব্যক্তির স্বৈরাচার দেখে নির্বাহী বিভাগকে সম্পূর্ণ ক্ষমতাহীন করে ফেলা সঠিক হবে না। বরং রাষ্ট্রের বিভিন্ন স্তরে দায়িত্ব ও জবাবদিহির ভারসাম্য নিশ্চিত করাটাই বেশি জরুরি। আগে যেটি জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) ছিল, সেটিই আজ সাসনিক (সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ নিয়োগ কমিটি)। আমরা চাই এর সঙ্গে আরও কিছু মৌলিক বিষয় যুক্ত হোক।’
তাঁর মতে, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবদিহি নিশ্চিত করা, আইন প্রণয়ন ও সংস্কার করে গণতন্ত্রের আওতায় আনা বিএনপির অন্যতম লক্ষ্য। সংবিধানের মূলনীতি সাম্য, মানবিক মর্যাদা, গণতন্ত্র ও সামাজিক সুবিচার এর প্রতিও দলের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন বিএনপির এ নেতা।
নতুন প্রস্তাবিত সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ কমিটির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, এখানে সংবিধানের নতুন একটা বডি চাচ্ছেন। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের বিদ্যমান আইন সংস্কার হতে পারে। সার্চ কমিটি গঠন করে দেওয়া যেতে পারে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা জন্য আইন থাকবে। এভাবেই রাষ্ট্রের মধ্যে চেক এন্ড ব্যালেন্স হবে।
এদিকে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্রের মূলনীতিতে ‘আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস’ এবং ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ সংযোজনের পক্ষে মতামত দিয়েছে। একইসঙ্গে সংশোধিত এনসিসি গঠনেও ঐকমত্যে পৌঁছেছেন তারা।
সংলাপ বিষয়ে ব্রিফিংকালে জামায়াতের ইসলামী কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, বেশিরভাগ দলই রাষ্ট্রের মূলনীতিতে ‘আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস’ এবং ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ সংযোজনের পক্ষে এবং সংশোধিত এনসিসি গঠনে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। রাষ্ট্রের মূলনীতি হিসেবে সাম্য, মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও ধর্মীয় স্বাধীনতা–এই চারটি বিষয় নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। কমিউনিস্ট পার্টি ও কয়েকটি বাম দল ছাড়া প্রায় সব দলই এ বিষয়ে একমত। তিনি বলেন, বাংলাদেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হওয়ায় জনগণের অনুভূতিকে সম্মান জানিয়ে আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম সংযোজন অপরিহার্য। যদিও এটি চূড়ান্ত হয়নি, তবে হাউজের অধিকাংশের মত এর পক্ষেই।
জামায়াতের নায়েবে আরও বলেন, এনসিসি নিয়ে প্রাথমিক প্রস্তাবিত নামটি সুপ্রিম কনস্টিটিউশনাল মনে হওয়ায় বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। কমিশন এখন এর সংশোধিত নাম প্রস্তাব করেছে ‘সাংবিধানিক এবং সংবিধিবদ্ধকরণ সংস্থাগুলোর নিয়োগ কমিটি’। এই কমিটি নির্বাচন কমিশন, পাবলিক সার্ভিস কমিশন, দুদক এবং পাবলিক অ্যাকাউন্টসের মতো গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক সংস্থায় নিয়োগের বিষয়গুলো দেখভাল করবে। প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা খর্ব করার প্রসঙ্গে ডা. তাহের বলেন, এসব সংস্থায় আগেও প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে নিয়োগ হতো না, সার্চ কমিটির মাধ্যমে হতো। বর্তমান প্রস্তাবে একাধিক সার্চ কমিটির বদলে একটি কেন্দ্রীয় কমিটির প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা খাটো হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
বৈঠক শেষে জামায়াতে ইসলামীর সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন এ বিষয়ে বিএনপি ছাড়া প্রায় সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে। আজকের (বুধবার) বৈঠকেও এই বিষয়টি উঠেছে এবং সবাই তাদের পূর্বঘোষিত অবস্থানেই অনড় রয়েছে। এখন কমিশনের ওপর দায়িত্ব এই বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক বাস্তবায়ন কীভাবে নিশ্চিত করা যায়, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার। জামায়াত আশা করছে, কমিশন এই বিষয়ে দৃঢ় ভূমিকা নেবে।
এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় মূলনীতির প্রশ্নে ঐকমত্য হয়নি। ৭২ মূলনীতি বাদ েিয় নতুন করে মূলনীতি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। নিয়োগের ক্ষেত্রে আগের ব্যবস্থা বাদ দিয়ে নতুন কমিটি করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। অনেকে বলেছেন এর মাধ্যমে অনির্বাচিত ব্যক্তিদের কাছে ক্ষমতা যায় যার সঙ্গে আমরা একমত না। নতুন পদ্ধতির সঙ্গে অনেকে একমত হচ্ছে না। আলোচনা শেষ হয়নি। সংস্কার ও নতুন বন্দোবস্ত বাস্তবায়ন করা না গেলে গনঅভ্যুনের আকাক্সক্ষা ব্যর্থ হবে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, রাষ্ট্রের মূলনীতি নিয়ে এখনো ঐকমত্য হয়নি। সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সুবিচার, গণতন্ত্র এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা, সম্প্রীতি ও পক্ষপাতহীনতা- এই পাঁচ বিষয় ভবিষ্যতে অন্তত সংবিধানে থাকতে হবে এরকম একটি ঐকমত্যে পৌঁছানোর বিষয়ে আমরা আশাবাদী। একজন প্রধানমন্ত্রী কত বছর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন, সে বিষয়ে একটি প্রস্তাব ছিল ১০ বছরের। এ বিষয়ে মোটামুটি একটা ঐকমত্য তৈরির জায়গা হয়েছে। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেন, সংবিধান ও রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি নিয়ে আলোচনায় ঐকমত্যে পৌঁছা সম্ভব হয়নি। আমরা বলেছি, সমাজতন্ত্রের পরিবর্তে সাম্য ও মানবিক মর্যাদার বিষয়টি যুক্ত করতে হবে। ধর্ম নিরপেক্ষতা বাদ দিয়ে ধর্মীয় মূল্যবোধের কথা উল্লেখ করতে হবে।
বাংলাদেশের লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, দেশের মানুষ বাহাত্তরের সংবিধান চায় না। ৫ আগস্টেই এর কবর রচনা হয়েছে। মূলত মুসলিম রাষ্ট্রের ওপর এ মতভেদ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনিও ধর্মনিরপেক্ষতার পরিবর্তে ধর্মীয় মূল্যবোধের পক্ষে মতামত ব্যক্ত করেন। তিনি অভিযোগ করেন, গুটিকয়েক বাম দলকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে ঐকমত্য কমিশন। অথচ সারা দুনিয়া থেকে বাম নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) ৭২ এর সংবিধান সংশোধন করা বা না করার পক্ষে সরাসরি মন্তব্য করেনি। তবে ধর্মনিরপেক্ষতার জায়গায় ধর্মীয় বিষয়ে পক্ষপাতহীনতার কথা বলেছে।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবির) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত মূলনীতি পরিবর্তনের কোনও সুযোগ নেই। কারণ, শুধু স্বাধীনতাবিরোধীরা ছাড়া সবাই এর পক্ষে। তবে আমরা মনে করি, বিদ্যমান মূলনীতি সমুন্নত রেখে নতুন কিছু যুক্ত করা যেতে পারে। আর আলোচনায় কোনো পয়েন্টে একমত না হলে জনগণের ওপর ছেড়ে দিতে হবে। তিনি জোর করে কোনো কিছু চাপিয়ে না দিতে ঐকমত্য কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, সংবিধানের মূলনীতি পরিবর্তনের বিষয়ে একমত হওয়া যায়নি। যেহেতু বিষয়টি মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণার সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই আমরা মনে করি, এ বিষয়ে আরও আলোচনা হতে হবে। এ ছাড়া গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকি, বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুল রশিদ ফিরোজও সংবিধানের মূলনীতি সংশোধনের বিপক্ষে মতামত তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাৎ হোসেন সেলিম বলেছেন, ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা হতাশাজনক। কারণ কমিশন যথাযথ সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। তারা ধারাবাহিক ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। এভাবে আলোচনা হলে জুলাইয়েও শেষ হবে না।