
ছবি: সংগৃহীত।
বর্তমান ব্যস্ত জীবনে অনিয়মিত খাবার, মানসিক চাপ, ঘুমের অভাব ও শারীরিক পরিশ্রমের ঘাটতির কারণে অনেকেই দুর্বলতা, ক্লান্তি ও শক্তির অভাব অনুভব করেন। চিকিৎসকদের মতে, দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় কিছু পুষ্টিকর খাবার যোগ করলে শরীর স্বাভাবিকভাবে শক্তি ফিরে পেতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদে সুস্থ থাকা যায়।
চলুন জেনে নিই, এমন ৭টি গুরুত্বপূর্ণ খাবারের কথা, যেগুলো দুর্বল শরীরকে করে তুলবে শক্তিশালী:
১. ডিম:
ডিমে রয়েছে উচ্চমাত্রার প্রোটিন, আয়রন ও বি-ভিটামিন, যা পেশি গঠনে সাহায্য করে এবং শরীরে শক্তি জোগায়। প্রতিদিন অন্তত একটি করে ডিম খেলে দুর্বলতা দ্রুত কাটে।
২. কলা:
কলা প্রাকৃতিক শক্তির উৎস। এতে থাকা পটাশিয়াম ও কার্বোহাইড্রেট ক্লান্তি দূর করে এবং মস্তিষ্ককে সচল রাখে। শরীরের ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যও বজায় রাখে এই ফলটি।
৩. ওটস (চিরা বা দই-চিড়া জাতীয় খাবার):
ওটসে রয়েছে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট ও ফাইবার, যা ধীরে ধীরে শক্তি সরবরাহ করে। এটি হজমে সহায়ক এবং দীর্ঘ সময় ধরে পেট ভরা রাখে।
৪. বাদাম ও চিনাবাদাম:
বাদামে রয়েছে ভালো চর্বি, প্রোটিন ও ভিটামিন ই, যা পেশি শক্তিশালী করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি শক্তির ঘাটতি পূরণে সহায়ক।
৫. পালংশাক ও সবুজ শাকসবজি:
আয়রনসমৃদ্ধ এইসব শাক শরীরে হিমোগ্লোবিন বাড়ায় এবং রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করে। ফলে শরীর চাঙা থাকে এবং দুর্বলতা কমে।
৬. মধু:
মধুতে প্রাকৃতিক চিনি রয়েছে, যা ত্বরিত শক্তি দেয়। সকালে এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে এক চামচ মধু মিশিয়ে খেলে দ্রুত শক্তি পাওয়া যায়।
৭. মাছ ও মুরগির মাংস:
প্রোটিন ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ মাছ ও লিন প্রোটিন সমৃদ্ধ মুরগির মাংস দুর্বল পেশি মজবুত করে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
নিয়মিত পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি পরিমিত ঘুম, মানসিক প্রশান্তি ও হালকা ব্যায়াম শরীরকে দ্রুত শক্তি ফিরে পেতে সহায়তা করে। অতিরিক্ত দুর্বলতা অনুভব করলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
মিরাজ খান