ছবি: সংগৃহীত
ভারতীয় নৌবাহিনীর সদর দপ্তরে কর্মরত এক কেরানি অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর কাছে গোপন সামরিক তথ্য পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন। রাজস্থানের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) কয়েক মাস ধরে নজরদারি চালিয়ে বিশাল যাদব নামের ওই ব্যক্তিকে দিল্লি থেকে গ্রেপ্তার করে।
রাজস্থান পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা বিষ্ণুকান্ত গুপ্ত এনডিটিভিকে বলেন, “পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এর গুপ্তচর তৎপরতা নিয়ে আমরা দীর্ঘদিন ধরে নজরদারি চালাচ্ছিলাম। তদন্তে দেখা যায়, যাদব সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ‘প্রিয়া শর্মা’ নামে এক নারীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছিলেন, যিনি সম্ভবত একজন আইএসআই অপারেটিভ।”
যাদব তার মোবাইলের মাধ্যমে ভারতীয় নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ অভিযান, ঘাঁটি এবং প্রতিরক্ষা ইউনিট সম্পর্কিত গোপন তথ্য ওই নারীকে সরবরাহ করতেন। পুলিশ জানিয়েছে, এসব তথ্যের বিনিময়ে তিনি আর্থিক লেনদেনও করেছেন।
ফরেনসিক তদন্ত শেষে পুলিশ জানায়, যাদবের মোবাইলে বছরের পর বছর ধরে ওই নারীর সঙ্গে কথোপকথন এবং ডেটা আদান-প্রদানের প্রমাণ রয়েছে। এমনকি মে মাসে অনুষ্ঠিত হওয়া ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সময়েও তিনি তথ্য পাচার করেছেন।
গেমিং আসক্তি, আর্থিক ক্ষতি ও ক্রিপ্টো মাধ্যমে লেনদেন
রাজস্থান পুলিশের দাবি, যাদব অনলাইন গেমের প্রতি আসক্ত ছিলেন এবং এ কারণে তিনি বড় অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন। সেই সুযোগই নিয়েছে পাকিস্তানি গোয়েন্দারা।
‘তিনি ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে এবং সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টেও অর্থ পেয়েছেন,’ বলেন বিষ্ণুকান্ত গুপ্ত।
বর্তমানে যাদবকে জয়পুরের কেন্দ্রীয় জিজ্ঞাসাবাদ কেন্দ্রে নিয়ে জেরা করা হচ্ছে। একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা তার সঙ্গে কে বা কারা আরও জড়িত থাকতে পারে তা খতিয়ে দেখছে।
এর আগে রাজস্থানের জয়সলমীরে পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে শাকুর খান নামের এক সরকারি কর্মচারীকে আটক করা হয়।
একই অভিযোগে হরিয়ানার ইউটিউবার ও ভ্লগার জ্যোতি মালহোত্রাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তকারীরা বলছেন, তিনিও অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন দিল্লিতে নিযুক্ত পাকিস্তান হাই কমিশনের এক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।
রাকিব
