
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার পাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে প্রশংসা করে তাঁকে “খুবই প্রভাবশালী” বলে উল্লেখ করেন এবং পুনরায় দাবি করেন যে, গত মাসে ইসলামাবাদ ও নয়াদিল্লির মধ্যে পারমাণবিক যুদ্ধ তিনি বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে থামিয়েছেন।
ট্রাম্প গত সপ্তাহে এক নজিরবিহীন হোয়াইট হাউস বৈঠকে ফিল্ড মার্শাল জেনারেল আসিম মুনীরকে লাঞ্চে আমন্ত্রণ জানান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট সাংবাদিকদের বলেন, পাকিস্তানি জেনারেলের সঙ্গে সাক্ষাৎ তাঁর জন্য “সম্মানের” বিষয় ছিল এবং তাঁরা ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়েও আলোচনা করেন।
পারমাণবিক অস্ত্রধারী ভারত ও পাকিস্তান কয়েকদিনের সামরিক সংঘাতে লিপ্ত হয়, যার পর ১০ মে ট্রাম্প উভয় দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন। ট্রাম্প বারবার বলেছেন, তিনি উভয় দেশকে বাণিজ্যের প্রস্তাব দিয়েছেন যদি তারা উত্তেজনা কমাতে রাজি হয়।
ডাচ শহর দ্য হেগ-এ ন্যাটো সম্মেলনে ট্রাম্পকে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন কেন তিনি রাশিয়া ও ইউক্রেনের চলমান যুদ্ধ থামাতে ব্যর্থ হয়েছেন। জবাবে ট্রাম্প বলেন, তিনি ইরান-ইসরায়েল ও ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ থামিয়েছেন, কারণ “ওই সময় পরিস্থিতি খুবই খারাপ হয়ে উঠছিল।”
তিনি আরও বলেন, “আসলে গত সপ্তাহেই আমার অফিসে পাকিস্তান থেকে আসা সেই জেনারেল ছিলেন, যিনি অত্যন্ত প্রভাবশালী একজন ব্যক্তি।”
ট্রাম্প ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে “মহান মানুষ, একজন ভদ্রলোক” বলে অভিহিত করেন এবং জানান, ওয়াশিংটন উভয় দেশকেই উত্তেজনার সময়ে যুক্তি দিয়ে বোঝাতে সাহায্য করেছে।
তিনি বলেন, “আমি বলেছিলাম, তোমরা যদি একে অপরের সঙ্গে যুদ্ধ করো, তাহলে কোনো বাণিজ্য চুক্তি হবে না। আর তোমরা জানো, তারা বলল—‘না, আমরা চুক্তি চাই।’ আর আমরা একটা পারমাণবিক যুদ্ধ থামিয়ে দিলাম।”
পাকিস্তান সরকার গত সপ্তাহে ঘোষণা করেছে যে, মে মাসের সামরিক উত্তেজনার সময় ট্রাম্পের “নির্ধারক কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ”-এর জন্য তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেবে।
ট্রাম্প অতীতেও ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার কাশ্মীর বিরোধে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছিলেন—যে অঞ্চলটি দুই দেশই পুরোপুরি নিজেদের দাবি করে, কিন্তু আংশিকভাবে শাসন করে।
সানজানা