ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২

আবারও যে কারণে হতে পারে ইরান- ইসরায়েল যুদ্ধ

প্রকাশিত: ১৫:৫২, ২৬ জুন ২০২৫

আবারও যে কারণে হতে পারে ইরান- ইসরায়েল যুদ্ধ

ছবি: সংগৃহীত

ন্যাটো সম্মেলনে অংশ নিতে নেদারল্যান্ডসের হেগ সফরে গিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে সম্মেলনের কূটনৈতিক আলোচনার চেয়েও বেশি আলোচনায় উঠে এসেছে ইরান-ইসরায়েল সাম্প্রতিক যুদ্ধ। সেখানে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের ব্যালিস্টিক মিসাইলের কার্যকারিতা ও ধ্বংসক্ষমতার প্রশংসা করেন এবং ইসরায়েলের ক্ষয়ক্ষতির কথাও অকপটে স্বীকার করেন।

 

 

 

ট্রাম্প বলেন, “ইসরায়েল ও ইরান একে অপরের ওপর যে হামলা চালিয়েছে তা যেন স্কুল মাঠে বাচ্চাদের ঝগড়া। তারা যেভাবে মরিয়া হয়ে লড়েছে, থামানো কঠিন ছিল। এক পর্যায়ে ক্লান্ত হয়ে পড়ে, তখনই শান্তি হয়।”

তিনি আরো বলেন, “দুই পক্ষই পরিশ্রান্ত। তাই যুদ্ধ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে আমার মনে হয়, খুব শীঘ্রই আবার সংঘাতে জড়াতে পারে।” বিশেষ করে ইরানের ব্যালিস্টিক মিসাইল নিয়ে ট্রাম্পের মন্তব্য ছিল উল্লেখযোগ্য। তিনি বলেন, “তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো অত্যন্ত শক্তিশালী। কয়েকদিন আগের হামলাগুলোতে ইসরায়েলের বহু গুরুত্বপূর্ণ ভবন ধ্বংস হয়েছে। ইরানের এই সক্ষমতা অত্যন্ত চমৎকার। এটা ইরানসহ সকল পক্ষের জন্যই একধরনের জয়।”

তিনি ইরানের চলমান ধৈর্য, বুদ্ধিমত্তা এবং ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষমতার প্রশংসা* করেন। বলেন, “ইরানের তেল আছে, মেধা আছে, তারা ফিরে আসবে। ইসরায়েল অনেক ক্ষতির শিকার হলেও তেহরানও জানে কখন থামতে হয়।”

 

ট্রাম্প সতর্ক করেন, “এই যুদ্ধ থেমেছে ঠিকই, কিন্তু এটি কি চিরতরে শেষ? আমার মনে হয় না। নতুন সংঘাত আবারও শুরু হতে পারে। সেই দিন হয়তো খুব বেশি দূরে নয়।”

 

এদিন গাজা ইস্যু নিয়েও কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
তিনি বলেন, “আমি আশাবাদী, গাজা নিয়েও আমরা দ্রুত সমাধানে পৌঁছাতে পারবো। সব পক্ষ এখন আলোচনায় আগ্রহী।”

ট্রাম্পের এই মন্তব্য ন্যাটো সম্মেলনের ফাঁকে বিশ্ব গণমাধ্যমে আলোড়ন তোলে। পশ্চিমা সামরিক জোটের কৌশলগত আলোচনার মঞ্চে একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলের প্রতি এতটা খোলামেলা দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরার ঘটনাকে অনেকেই ব্যতিক্রমী বলে মন্তব্য করেছেন।

 

 

 

ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যে একদিকে যেমন ইরানের সামরিক সক্ষমতার স্বীকৃতি মেলে, তেমনি ইসরায়েলের জন্য এটি আশঙ্কাজনক বার্তা হতে পারে। আবারো সংঘাত শুরুর শঙ্কাও যেন আকাশে ঝুলে থাকা বজ্রপাতের মতই। পরিস্থিতি স্থায়ী শান্তির দিকে যাবে, নাকি আরও এক ধাপ সংঘাতের দিকে, তা সময়ই বলে দেবে।

ছামিয়া

×