
ছবি: পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার ঢেপসাবুনিয়া গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে বেড়িবাঁধ ভেঙে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার বালিপাড়া এলাকার কচা ও বলেশ্বর নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে জেয়ারের অতিরিক্ত পানি ও টানা বর্ষণের কারনে উপকূলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার স্কুল, কলেজ ও মাদরাসাসহ নদীতিরবর্তী এলাকাগুলোও প্লাবিত হয়।
অপরদিকে কচাঁ নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে চরখালী-টগড়া দুটি ফেরির গ্যাংওয়ে তলিয়ে যাওয়ায় পিরোজপুর-মঠবাড়িয়া, ভান্ডারিয়া, পাথরঘাটা, বরিশাল রুটের ফেরী চলাচলে বিগ্ন ঘটেছে।
এদিকে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ইন্দুরকানীর আবাসন ও ইন্দুরকানী-কালাইয়া সড়কসহ বেশ কয়েকটি সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়াও কালাইয়া, সাঈদখালী, ঢেপসাবুনিয়া, চরবলেশ্বর, কলারন, চন্ডিপুর ও খোলপটুয়া গ্রামসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
চরবলেশ্বর গ্রামের বাসিন্দা মজিবুর রহমান বলেন, জোয়ারের পানিতে বেড়িবাঁধ ভেঙে গ্রামের অধিকাংশ ঘর ডুবে যাওয়ায় কাঁচা ঘরের ক্ষতি হয়েছে। নতুন করে বাঁধ না দিলে পরিবার-পরিজন নিয়ে বাস করা যাবে না। সরকারের কাছে ত্রাণ সহায়তা নয়, টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানাই।
কঁচা নদীর তীরবর্তী চণ্ডিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মশিউর রহমান মঞ্জু বলেন, অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে বেড়িবাঁধ ভেঙে তাঁর এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জনসাধারণকে রক্ষায় সরকারের কাছে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানান তিনি।
ইন্দুরকানী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হাসান-বিন মোহাম্মদ আলী বলেন, অতিরিক্ত জোয়ারের পানির কারণে বেড়ীবাঁধ ভেঙে বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হওয়ায় পরিদর্শন করা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে তারাঁ দ্রুত ব্যবস্থা নিবে।
এ বিষয় জানতে পিরোজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নুসাইর হোসেনকে মুঠোফোনে কল করেও তাকে পাওয়া যায় নি।
সায়মা ইসলাম