ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৭ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২

পাওনা টাকা চাওয়ায়

কুয়াকাটায় মৎস্যজীবী দল সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা, অভিযুক্ত নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার ভাই

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ২২:২৪, ২৬ জুন ২০২৫; আপডেট: ২২:২৫, ২৬ জুন ২০২৫

কুয়াকাটায় মৎস্যজীবী দল সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা, অভিযুক্ত নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার ভাই

ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় পাওনা টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে শহিদুল ফকির (৪০) নামে এক জেলেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত সোহেল ফকির নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ক্যাডার নজরুল ফকিরের ছোট ভাই বলে জানা গেছে।

নিহত শহিদুল পশ্চিম খাজুরা গ্রামের মৃত আলী ফকিরের ছেলে এবং স্থানীয় একটি মাছ ধরার ট্রলারের মাঝি ছিলেন। তিনি ওয়ার্ড মৎস্যজীবী দলের সক্রিয় সদস্য ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পশ্চিম খাজুরা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, শহিদুলের ট্রলারের এক স্টাফের কাছে সোহেল ফকির ২ হাজার ৪০০ টাকা পেতেন। এ নিয়ে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে সোহেল শহিদুলকে বেধড়ক মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে কাঠের টুকরো দিয়ে মাথায় আঘাত করলে শহিদুল রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।

স্থানীয়রা দ্রুত শহিদুলকে উদ্ধার করে কুয়াকাটা হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কুয়াকাটা কমিউনিটি হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. রিয়াজ হোসেন বলেন, "হাসপাতালে আনার আগেই শহিদুল মারা গেছেন। মাথায় গুরুতর আঘাত ছিল।"

নিহতের ছেলে সজল (১৯) অভিযোগ করে বলেন, "আমি আগেই সোহেলের পাওনা টাকা পরিশোধ করেছি। তারপরও আমার বাবাকে গালিগালাজ করে হঠাৎ কাঠ দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে।"

এ বিষয়ে লতাচাপলী ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান হাওলাদার বলেন, "৫ আগস্টের পর থেকে এলাকায় নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের একটি চক্র নানা কুকর্মে লিপ্ত। শহিদুল ফকিরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং দ্রুত জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।"

মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, "নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত সোহেল ফকির থানার তালিকাভুক্ত এবং একাধিক মামলার আসামি। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।"

আসিফ

×