ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২

যে ৪টি লক্ষণে বুঝবেন—আপনার কিডনি মারাত্মক ঝুঁকিতে!

প্রকাশিত: ২০:২৫, ২৬ জুন ২০২৫

যে ৪টি লক্ষণে বুঝবেন—আপনার কিডনি মারাত্মক ঝুঁকিতে!

ছবি: সংগৃহীত

কিডনি রোগ ধীরে ধীরে শরীরে বাসা বাঁধে, এবং অনেক ক্ষেত্রেই যখন লক্ষণ বোঝা যায়, তখন সেটি হয়ে পড়ে গুরুতর। চিকিৎসকদের মতে, কিডনির সমস্যা যদি শুরুতেই শনাক্ত করা যায়, তবে তা নিয়ন্ত্রণ ও চিকিৎসা সহজ হয়। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ এই রোগের প্রাথমিক সংকেতগুলো উপেক্ষা করেন—ফলে তা পৌঁছে যায় জটিল পর্যায়ে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিচের চারটি লক্ষণ দেখা গেলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি:

১. প্রস্রাবে পরিবর্তন বা অস্বাভাবিকতা
প্রস্রাবের রঙ গাঢ় হয়ে যাওয়া, ফেনা হওয়া, দুর্গন্ধ বের হওয়া কিংবা প্রস্রাবের পরিমাণ হঠাৎ কমে যাওয়া—সবই কিডনির সমস্যা নির্দেশ করতে পারে। অনেক সময় রাতে ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগও একটি গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত।

২. সারা শরীরে ফোলা ভাব (সোয়েলিং)
কিডনি ঠিকভাবে কাজ না করলে শরীরে অতিরিক্ত পানি জমে থাকে। ফলে পা, মুখ, চোখের নিচে এবং হাতের গাঁটে ফোলা ভাব দেখা যায়। উদাহরণ: সকালে ঘুম থেকে উঠেই চোখ ফোলা, বা পায়ের গোড়ালি মোজা পরার পর চেপে বসে থাকলে এটি কিডনি সমস্যার সংকেত হতে পারে।

৩. অতিরিক্ত ক্লান্তি ও মনোযোগে ঘাটতি
কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হলে রক্তে টক্সিন জমে যেতে থাকে, যা শরীরে ক্লান্তি, দুর্বলতা ও ঘুম ঘুম ভাব তৈরি করে। অনেক সময় মনে হতে পারে—মাথা ঠিকমতো কাজ করছে না। বিশেষজ্ঞ ব্যাখ্যা: “রক্তে দূষিত পদার্থ জমে গেলে তা মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলে। এজন্য মনোযোগ হারানো ও ক্লান্তি কিডনি সমস্যার অংশ হতে পারে।”

৪. ক্ষুধামান্দ্য ও মুখে ধাতব স্বাদ
খাওয়ার ইচ্ছা কমে যাওয়া, মুখে অদ্ভুত ধাতব স্বাদ বা দুর্গন্ধ অনুভব করা কিডনির সমস্যা বোঝায়। এটি রক্তে ইউরিয়া জমার কারণে ঘটে। অনেক সময় এই লক্ষণগুলো ধীরে ধীরে শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং মানুষ বুঝতেও পারে না—তাদের কিডনি নীরবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

বাংলাদেশে প্রতি বছর কয়েক লাখ মানুষ কিডনি সমস্যায় ভোগেন এবং অজ্ঞাত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। এই সমস্যাগুলো যদি আপনিও অনুভব করেন—আজই নিকটস্থ নেফ্রোলজিস্ট বা মেডিসিন বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হোন।

নিয়মিত রক্তচাপ ও রক্তের চিনি পরীক্ষা করুন। পর্যাপ্ত পানি পান করুন (বিশেষ করে গরমকালে)। অপ্রয়োজনে ব্যথানাশক বা অ্যান্টিবায়োটিক সেবন এড়িয়ে চলুন। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও ব্যায়াম করুন।

ফারুক

×