
তীব্র যন্ত্রণাদায়ক একটি রোগ হলো বিষফোড়া। স্টাফালোলোকোক্কাস ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট এই ফোড়া সাধারণত অনেকগুলো ছোট ছোট মুখ নিয়ে গঠিত থাকে, যা ‘কার্বাঙ্কল’ নামে পরিচিত। বিষফোড়া বেশি দেখা যায় কোমর, ঘাড়, পিঠ, কনুই ও কানে। তবে অধিকাংশ সময় এটি পশ্চাৎদেশে হওয়ার কারণে ব্যথা অনেক বেশি অনুভূত হয়।
পেছনে বিষফোড়া হলে প্রতিদিনের কাজ করতেও মন খারাপ হয়। বসতে গেলে, হাঁটতে গেলে সেই জায়গায় তীব্র জ্বালাপোড়া ও ব্যথা অনুভূত হয়।
তবে বিষফোড়া যেখানেই হোক না কেন, এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তির সহজ ঘরোয়া উপায় আছে। রোগ সম্পর্কে জানা থাকলে ভোগান্তি অনেক কমে যায়। তাই আসুন জেনে নিই ঘরোয়া কিছু সহজ টিপস, যা বিষফোড়া কমাতে সাহায্য করে।
বিষফোড়া হলে প্রথমত জীবাণুনাশক সাবান দিয়ে আক্রান্ত স্থান পরিষ্কার রাখতে হবে। পরিষ্কার কাপড় গরম পানিতে ভিজিয়ে হালকা চাপ দিয়ে ফোড়া লাগা জায়গায় কয়েকবার ধরে রাখুন। এতে তাপের কারণে ফোড়া গলে যেতে সাহায্য করবে।
ফোড়া গলে রক্ত পড়তে পারে, তাই প্রস্তুত থাকা দরকার। জমে থাকা রক্ত বেরিয়ে যেতে দিন। এরপর ফোড়ার চারপাশে অ্যান্টিসেপ্টিক ক্রিম বা লোশন লাগাতে হবে, যা নতুন করে সংক্রমণ ও ফোড়া হওয়ার আশঙ্কা কমায়।
যদিও সাধারণত ৭ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে ফোড়া নিজে থেকেই গলে যায়, তবুও নিজের হাত দিয়ে ফোড়া চেপে ফেলার চেষ্টা করা উচিত নয়। এতে সংক্রমণ ছড়াতে পারে এবং অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে। তাই গরম পানি ভেজা কাপড় দিয়ে ধীরে ধীরে ফোড়া গলানোই নিরাপদ ও কার্যকর উপায়।
এভাবে নিয়ম মেনে ঘরোয়া যত্ন নিলে বিষফোড়া থেকে অনেকটা মুক্তি পাওয়া সম্ভব এবং যন্ত্রণাও কমে।
মিমিয়া