
ছবিঃ সংগৃহীত
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেয়ী বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র “কোনো অর্জন ছাড়াই ব্যর্থ হয়েছে” এবং তার দেশ “যুক্তরাষ্ট্রের মুখে একটি জোরালো চড় মেরেছে”। ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির পর এই প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে মুখ খুললেন তিনি। এ যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতায় ছিল যুক্তরাষ্ট্র।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম X-এ দেওয়া এক পোস্টে খামেনেয়ী বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুদ্ধের ময়দানে নামতে বাধ্য হয়েছিল, কারণ তারা বুঝতে পেরেছিল, যদি তা না করে তবে জায়নিস্ট (ইসরায়েলি) শাসনব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে। তারা ওই শাসনব্যবস্থাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল, কিন্তু কিছুই অর্জন করতে পারেনি।”
তিনি আরও বলেন, “ইসলামী প্রজাতন্ত্র (ইরান) যুক্তরাষ্ট্রের মুখে একটি জোরালো চড় দিয়েছে। আমরা আঘাত করেছি এবং ক্ষতি করেছি আল-উদেইদ বিমানঘাঁটিতে, যা যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি।”
উল্লেখ্য, গত সোমবার কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি আল-উদেইদে হামলা চালায় ইরান। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, এটি ছিল তাদের পারমাণবিক স্থাপনায় চালানো হামলার জবাব, তবে ইরান পরিস্থিতি বাড়িয়ে না তুলেই তা করতে চেয়েছিল।
এ ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ইরানের হামলাটি ছিল “খুবই দুর্বল” এবং তিনি দাবি করেন, “ইরান যে ১৪টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল, তার মধ্যে ১৩টিই ধ্বংস করা হয়েছে।”
হামলার পর কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মজেদ আল আনসারিও X-এ দেওয়া এক বিবৃতিতে জানান, “কাতারের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সফলভাবে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলো প্রতিহত করেছে এবং কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।”
সূত্রঃ দ্যা গার্ডিয়ান
ইমরান