ছবিঃ সংগৃহীত
নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দিনব্যাপী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন দুদকের বাগেরহাট জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাইদুর রহমান।
তিনি বলেন, রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ, টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়ম, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামাল অবৈধভাবে লুটপাটসহ বিভিন্ন অনিয়মের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনায় দিনভর এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। আমাদের কাছে অভিযোগ ছিল যে, এখানে বাংলাদেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ভারতীয় কোম্পানি এনটিপিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে বেতন-ভাতায় বৈষম্য রয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমরা নীতিগত বেশকিছু বৈষম্য দেখেছি। ভারতীয় এনটিপিসি কর্পোরেশনের নীতিমালা অনুযায়ী ভারতীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এখানে বেশি বেতন পেলেও একই পজিশন হোল্ড করে বাংলাদেশের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নীতিমালা অনুযায়ী কম বেতন পাচ্ছেন।
এখান থেকে প্রতিনিয়ত মালামাল লুটপাট ও অবৈধভাবে আত্মসাৎ করার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা কিছু ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। এখানকার কর্মকর্তারা এ-সম্পর্কিত কিছু বিষয়ে মামলা দিয়েছেন। কিছু বিষয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিয়েছেন—এমন কাগজপত্র আমাদেরকে দিয়েছেন।
এছাড়া টেন্ডার প্রক্রিয়ায় কয়লা যে পরিমাণ দেখানো হয়, তার চেয়ে কম নিয়ে আসা হয়—এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের কাছে টেন্ডার ডকুমেন্ট চাওয়া হয়েছে। এটি পর্যালোচনা করে আমরা পরবর্তীতে জানাতে পারব। এছাড়া আরো একটি অনিয়ম পেয়েছি, সেটি হচ্ছে—এখানে ভারতীয় যারা আছেন, তাদের তিন বছরের ট্যাক্স দেওয়া লাগে না, কিন্তু বাংলাদেশি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ট্যাক্স দিতে হয়। আমরা বিভিন্ন রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করেছি এবং সেগুলো দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয় বরাবর প্রেরণ করা হবে। এই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
তবে এ বিষয়ে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কোনো কর্মকর্তা আনুষ্ঠানিকভাবে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ইমরান
