
ছবি: সংগৃহীত
হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক যেন বজ্রপাতের মতো। কিন্তু সবসময় তা একেবারে ‘হঠাৎ’ আসে না। চিকিৎসকদের মতে, হৃদরোগের আগেই আমাদের শরীর কিছু সতর্ক সংকেত দিয়ে দেয়। এগুলো অগ্রাহ্য করলে বিপদের আশঙ্কা বাড়ে বহুগুণ। তাই আগে থেকেই সচেতন হওয়া জরুরি।
🫀 বুক ধড়ফড় করা বা চাপ অনুভব
সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হচ্ছে বুকের মাঝখানে চাপ, জ্বালা বা অস্বস্তি। এটি কয়েক মিনিট স্থায়ী হতে পারে বা বারবার আসতে-যেতে পারে। অনেক সময় এই ব্যথা কাঁধ, বাহু, ঘাড়, চোয়াল বা পিঠেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
🫁 শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া
বুক ধড়ফড়ের পাশাপাশি অনেকেই শ্বাস নিতে সমস্যায় পড়েন। হঠাৎ শ্বাসকষ্ট হলে তা সাধারণ ক্লান্তি নয়, বরং হৃদযন্ত্রে সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে।
😰 অতিরিক্ত ঘাম হওয়া
বিশেষ কোনো কাজ না করেও হঠাৎ হালকা ঘাম বা ঠান্ডা ঘাম হতে থাকলে তা হৃদরোগের পূর্ব লক্ষণ হতে পারে। অনেক সময় এটি নার্ভাস বা গরম আবহাওয়ার মতো মনে হলেও, এটি অবহেলা করা বিপজ্জনক।
🤢 বমিভাব বা বুকে অস্বস্তি
অনেকেই হঠাৎ বমি বমি ভাব, বুক ভারি লাগা বা হজমে সমস্যা অনুভব করেন। এসব উপসর্গকে অ্যাসিডিটির লক্ষণ ভেবে এড়িয়ে গেলে বড় বিপদ হতে পারে।
🦵 হাঁটুর নিচ থেকে শুরু হওয়া ব্যথা
হৃদ্যন্ত্রের সমস্যায় শরীরে রক্ত সঞ্চালনে ব্যাঘাত ঘটে। ফলে পায়ে ব্যথা, ফোলাভাব বা দুর্বলতা দেখা দিতে পারে, বিশেষ করে হাঁটুর নিচের অংশে।
😴 অতিরিক্ত ক্লান্তি বা ঘুম ঘুম ভাব
নিয়মিত বিশ্রাম নেওয়ার পরেও যদি ক্লান্তি থেকে যায় বা ঘুম ঘুম ভাব হয়, তবে সেটি হৃৎপিণ্ড ঠিকমতো রক্ত সরবরাহ করতে পারছে না—এমন ইঙ্গিত হতে পারে।
😵 মাথা ঘোরা বা অচেতন হওয়ার অনুভূতি
রক্তচাপ হঠাৎ কমে গেলে মাথা ঘোরা, চোখের সামনে অন্ধকার দেখা কিংবা ভারসাম্য হারানো হতে পারে। এসব ঘটনা হৃদরোগের পূর্বাভাস হিসেবে বিবেচিত।
🛑 কখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন?
উপরোক্ত উপসর্গগুলো যদি একাধিকবার ঘটে এবং প্রতিবারই শরীরে অস্বস্তি বাড়তে থাকে, তবে দেরি না করে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করুন। সময়মতো চিকিৎসা গ্রহণ করলেই প্রতিরোধ করা যায় মৃত্যুর ঝুঁকি।
হৃদয় সুস্থ রাখতে যা করবেন:
1. নিয়মিত হাঁটাহাঁটি ও ব্যায়াম
2. ধূমপান ও মদ্যপান বর্জন
3. পর্যাপ্ত ঘুম ও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ
4. ফাস্টফুড ও তেলেভাজা কমিয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ
5. বছরে অন্তত একবার হৃৎপিণ্ড পরীক্ষা
হৃৎপিণ্ড আমাদের প্রাণশক্তির কেন্দ্র। তাই এর যত্ন নেওয়া শুধু প্রয়োজন নয়, দায়িত্বও বটে। সতর্ক থাকুন, সুস্থ থাকুন।
Mily