ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৭ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২

গরমে শিশুর যত্নে যেসব বিষয় খেয়াল করতে হবে

প্রকাশিত: ০০:৪২, ২৭ জুন ২০২৫

গরমে শিশুর যত্নে যেসব বিষয় খেয়াল করতে হবে

ছবি: সংগৃহীত।

দেশজুড়ে বিরাজমান তীব্র গরম শিশুদের শরীর ও স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে বলে সতর্ক করেছেন অধ্যাপক ডা. আবিদ হোসেন মোল্লা, শিশু বিশেষজ্ঞ ও বারডেম জেনারেল হাসপাতাল এবং ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক।

তিনি বলেন, “আমরা যে তাপমাত্রা সহ্য করছি, তা আরও ৬-৭ মাস থাকতে পারে। এই সময়টায় শিশুদের স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া জরুরি, কারণ বড়রা গরম সামলেও নিতে পারে, কিন্তু শিশুদের কষ্ট অনেক সময় বুঝে ওঠা যায় না এবং তা জটিল আকারও ধারণ করতে পারে।”

ডা. আবিদ জানান, অত্যধিক গরমে শিশু ঘেমে যায়, আর সেই ঘাম বসে গিয়ে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। বিশেষ করে যেসব শিশু অ্যাজমায় ভোগে, তাদের জন্য এই সময়টা ঝুঁকিপূর্ণ। ঘামের কারণে অনেক শিশুর অ্যাজমা অ্যাটাকও শুরু হয়ে যেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, অতিরিক্ত ঘামের ফলে যদি শিশুকে পর্যাপ্ত পানি ও তরল না দেওয়া হয়, তবে ডিহাইড্রেশন হতে পারে। ডিহাইড্রেশন হলে শিশুর প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায়, যা একটি বিপজ্জনক লক্ষণ। তাই প্রতিদিন কিছু সময় পরপর শিশুদের পানি বা যেকোনো তরল পান করানো প্রয়োজন, যাতে শরীরে পানির ঘাটতি না হয়।

অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “এই গরমে অনেক সময় বাবা-মায়েরা বাচ্চাকে গোসল করাতে ভয় পান। কিন্তু এটা ঠিক নয়। প্রতিদিন গোসল করানো এবং কয়েকবার শরীর মুছে দেওয়া শিশুকে স্বস্তি দিতে পারে। এতে ঘামের গ্রন্থির মুখ পরিষ্কার হয়ে যায়, ঘাম সহজে বের হতে পারে এবং শিশুর আরাম হয়।”

তিনি আরও পরামর্শ দেন, দুপুরের দিকে শিশুকে ঘরের ছায়া বা শীতল পরিবেশে রাখতে হবে। রোদে বেশি সময় থাকা থেকে বিরত রাখতে হবে, কারণ এতে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি বাড়ে।

অধ্যাপক আবিদ হোসেন মোল্লা অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান, গরমের এই সময়ে শিশুদের সুস্থ রাখতে সচেতনতা ও নিয়মিত যত্নই হতে পারে সর্বোত্তম প্রতিকার।

মিরাজ খান

×