ছবি: জনকণ্ঠ
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বালুয়া টু শঠিবাড়ী রোড, ধাপ শ্যামপুর এলাকায় প্রায় ২০ বিঘা জমি জুড়ে অবস্থিত "পদ্ম পুকুর"। এখানে হাজার হাজার গোলাপি পদ্ম ফুলের এক অপরূপ মেলায় পরিণত হয়েছে। বর্ষায় সুবিশাল এই পুকুরজুড়ে ফুটে থাকা পদ্মের মনমুগ্ধ করা দৃশ্য দেখতে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন অসংখ্য প্রকৃতিপ্রেমী। কিন্তু দর্শনার্থীদের অসচেতনতা ও অবাধে ফুল ছিঁড়ে নেওয়ার প্রবণতায় পুকুরের এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এখন হুমকির মুখে।
স্থানীয়দের কাছে যুগ যুগ ধরে এটি "পদ্ম পুকুর" নামেই পরিচিত। কয়েক দশক ধরে প্রতি বর্ষাকালেই এই সুবিশাল পুকুরে গোলাপি রঙের অসংখ্য পদ্ম ফোটে, যা পুকুরটিকে এক ভিন্ন মাত্রা দেয়। পদ্মফুল সারা বছর দেখা না গেলেও বর্ষাকালে এর দৃষ্টিনন্দন রূপ প্রকৃতিপ্রেমীদের মুগ্ধ করে তোলে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পদ্মের এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে এলাকার বিভিন্ন বয়সী ছেলে-মেয়ে ও শিশুরা বিলে আসছেন। অনেকেই স্মৃতির পাতায় ধরে রাখতে তুলছেন ছবি। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, কিছু সংখ্যক দর্শনার্থী ছবি তোলার পাশাপাশি অবাধে পদ্মফুল ছিঁড়ে নিয়ে যাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, ছিঁড়ে নেওয়া এসব ফুল অনেক সময় রাস্তায় ফেলে রেখে যেতেও দেখা যাচ্ছে, যা পুকুরের সৌন্দর্যকে মারাত্মকভাবে নষ্ট করছে।
স্থানীয় একজন বাসিন্দা আক্ষেপ করে বলেন, "এখানে আসা কিছু দর্শনার্থী যাওয়ার সময় পদ্ম ছিঁড়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা অনুরোধ করা সত্ত্বেও তারা কথা শুনছেন না। এতে করে আমাদের এই প্রিয় পদ্ম পুকুর তার সৌন্দর্য হারাচ্ছে।"
ঘুরতে আসা এক দর্শনার্থীও একই উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, "পদ্মফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে এখানে এসেছিলাম। কিন্তু দেখছি এই পুকুরের পদ্মফুল দিনে দিনে কমে যাচ্ছে। এর কারণ হলো অনেকেই পদ্মফুল ছিঁড়ে নিয়ে যাচ্ছে। পদ্মফুল ফোটার এই সময়ে সুবিশাল পুকুরটা যদি সংরক্ষণ করা যেত, তাহলে দর্শনার্থীরা আরও বেশি উপভোগ করতে পারতো।"
প্রাকৃতিক এই সৌন্দর্য ধরে রাখতে এবং পদ্ম পুকুরকে সুরক্ষিত রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সাধারণ মানুষের সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি। অন্যথায়, পদ্মের এই অপরূপ শোভা হয়তো খুব দ্রুতই বিলীন হয়ে যাবে।
শহীদ
