
ছবি: এমডি সাব্বির (প্রতীকী ছবি)
আজ পবিত্র জুম্মা বার। মুসলিম উম্মাহর জন্য এটি একটি অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ দিন। এই দিনে কিছু বিশেষ আমল রয়েছে, যা পালনের মাধ্যমে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি ও অফুরন্ত সওয়াব লাভ করা যায়।
এখানে জুম্মার দিনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল তুলে ধরা হলো:
১. জুম্মার নামাজের প্রস্তুতি:
-
গোসল করা: জুম্মার দিনে গোসল করা সুন্নাত। এটি শরীর ও মনকে পবিত্র করে এবং নামাজের জন্য প্রস্তুত করে তোলে।
-
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পোশাক পরিধান: উত্তম ও পরিষ্কার পোশাক পরা, সম্ভব হলে নতুন পোশাক পরা।
-
সুগন্ধি ব্যবহার: সুগন্ধি ব্যবহার করা সুন্নাত, যা মনকে সতেজ করে তোলে।
-
মিসওয়াক করা: মিসওয়াক বা দাঁত পরিষ্কার করা।
২. মসজিদে দ্রুত যাওয়া:
-
জুম্মার দিনে যত দ্রুত সম্ভব মসজিদে যাওয়া উচিত। হাদিসে এসেছে, যে যত আগে মসজিদে যাবে, সে তত বেশি সওয়াব লাভ করবে। প্রথম ভাগে মসজিদে প্রবেশকারী যেন একটি উট কুরবানি করার সওয়াব পায়।
৩. মনোযোগ সহকারে খুতবা শোনা:
-
জুম্মার খুতবা মনোযোগ সহকারে শোনা ওয়াজিব। খুতবা চলাকালীন কোনো কথা বলা বা অন্য কোনো কাজে লিপ্ত হওয়া অনুচিত।
৪. বেশি বেশি দরুদ পাঠ:
-
জুম্মার দিনে এবং জুম্মার রাতে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর উপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। হাদিসে এর বিশেষ ফজিলতের কথা উল্লেখ আছে।
৫. সূরা কাহফ তেলাওয়াত:
-
জুম্মার দিনে সূরা কাহফ তেলাওয়াত করা সুন্নাত। যে ব্যক্তি জুম্মার দিনে সূরা কাহফ তেলাওয়াত করবে, আল্লাহ তায়ালা তাকে এক জুম্মা থেকে আরেক জুম্মা পর্যন্ত নূর দ্বারা আলোকিত করে দেবেন।
৬. দোয়া কবুলের বিশেষ মুহূর্ত:
-
জুম্মার দিনে এমন একটি বিশেষ মুহূর্ত রয়েছে, যখন বান্দার দোয়া কবুল হয়। এই মুহূর্তটি কখন, তা নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি, তবে উলামায়ে কেরামদের মতে, এটি আসর থেকে মাগরিবের মধ্যবর্তী সময়ে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই এই সময়ে বেশি বেশি দোয়া করা উচিত।
৭. নফল নামাজ ও জিকির:
-
জুম্মার দিনে বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করা এবং আল্লাহর জিকির করাও অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ।
৮. দান-সদকা করা:
-
জুম্মার দিনে দান-সদকা করার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এর মাধ্যমে সওয়াব বহুগুণ বৃদ্ধি পায়।
এই আমলগুলো পালনের মাধ্যমে আমরা জুম্মার দিনের বরকত ও ফজিলত লাভ করতে পারি এবং আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করতে পারি। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে এই আমলগুলো যথাযথভাবে পালনের তৌফিক দান করুন। আমিন।
সাব্বির