জোহরান মামদানির স্ত্রী রামা দুয়াজি: সিরীয় বংশোদ্ভূত প্রতিবাদী শিল্পী

জোহরান মামদানির স্ত্রী রামা দুয়াজি একজন ২৭ বছর বয়সী সিরীয়-মার্কিন অ্যানিমেটর ও চিত্রকর, যিনি নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিনে বসবাস করেন।

চলতি বছর নিউ ইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে বিজয়ী হলে শুধু জোহরান মামদানি নয়, তার সঙ্গে গ্রেসি ম্যানশনে যাবেন তার স্ত্রী রামা দুয়াজিও—যার শিল্পকর্মে প্রায়ই ফিলিস্তিনপন্থী বার্তা উঠে আসে।

সাধারণত প্রচারের আড়ালে থাকা রামা সম্প্রতি ডেমোক্র্যাটিক প্রাইমারিতে মামদানির জয়ের পর মঞ্চে হাজির হন। বিজয় বক্তৃতায় মামদানি বলেন, “আমার অসাধারণ স্ত্রীকে ধন্যবাদ দিতে চাই—রামা, তোমাকে ধন্যবাদ,” বলে তার হাত চুমু খান। এরপর রামা ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি দিয়ে লেখেন, "couldn't possibly be prouder"।

কে এই রামা দুয়াজি?

রামা দুয়াজি একজন সিরীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান, যিনি টেক্সাসে জন্মগ্রহণ করেন। তার ইনস্টাগ্রামে নিজেকে দামেস্কের বাসিন্দা হিসেবে উল্লেখ করা থাকলেও তার প্রচার টিম জানায়, তিনি জাতিগতভাবে সিরীয়।

তিনি ও মামদানি কয়েক বছর আগে হিঞ্জ নামের একটি ডেটিং অ্যাপে পরিচিত হন। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে দুবাইয়ে তাদের এনগেজমেন্ট ও নিকাহ্ সম্পন্ন হয়। পরে নিউ ইয়র্ক সিটি ক্লার্কের অফিসে বিয়ে করেন তারা।

রামা নিউ ইয়র্কের School of Visual Arts-এ ইলাস্ট্রেশনে মাস্টার্স করেছেন। তার কাজ The New Yorker, The Washington Post, BBC, Apple, Spotify, VICE এবং লন্ডনের Tate Modern-এ প্রকাশিত হয়েছে।

তার শিল্পকর্মে আরব পরিচয়, নারীত্ব, রাজনৈতিক প্রতিরোধ এবং কমিউনিটির অভিজ্ঞতা উঠে আসে। তিনি সিরামিকের কাজও করেন, বিশেষ করে হাতে আঁকা নীল-সাদা প্লেট।

রামার চিত্রকর্মে প্রায়ই ফিলিস্তিনপন্থী বার্তা ফুটে ওঠে—ইসরায়েলি সহিংসতা, জাতিগত নিধন এবং মার্কিন ভূমিকার সমালোচনা করেন তিনি। এক অ্যানিমেশনে, যা মামদানি নিজেও শেয়ার করেন, নিউ ইয়র্কের কিছু দাতব্য সংস্থার বিরুদ্ধে ইসরায়েলি যুদ্ধাপরাধে অর্থায়নের অভিযোগ তোলা হয়। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “একজন শিল্পীর দায়িত্ব—তার সময়ের প্রতিফলন ঘটানো,”—এই উক্তিটি গায়িকা ও পিয়ানোবাদক নিনা সিমোনের।

ইনস্টাগ্রামে তার অনুসরণকারী প্রায় ৯২ হাজার, যেখানে তিনি নিজের শিল্পকর্ম, রাজনৈতিক মতামত ও ব্যক্তিগত মুহূর্ত শেয়ার করেন।