ছবি: সংগৃহীত
ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু স্থাপনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর পেন্টাগন অবশেষে সেই ‘অভিযানের’ কিছু নতুন তথ্য প্রকাশ করেছে। যদিও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেছেন এই হামলায় ইরানের পরমাণু কর্মসূচি "সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস" হয়েছে, পেন্টাগনের পক্ষ থেকে সে দাবির নিশ্চিত প্রমাণ এখনও জানানো হয়নি।
প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ বলেন, "এই অভিযান ছিল ইতিহাসের সবচেয়ে গোপন ও জটিল সামরিক অভিযান।" বিস্তারিত এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন, পরিকল্পনার নেপথ্যে ছিল যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বৈজ্ঞানিক ও সামরিক মেধা।
জেনারেল ড্যান কেইন জানান, মিশনটি ৩৭ ঘণ্টা ধরে চলে এবং এতে পুরুষ-মহিলা উভয় পাইলট ছিলেন। তারা যুক্তরাষ্ট্রের বিমান ঘাঁটি থেকে উড়ে ইরানের ফোরদো, নতাঞ্জ ও ইসফাহান—এই তিনটি পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালান। এই মিশনে ৩০,০০০ পাউন্ড ওজনের বিশাল বোমা ব্যবহার করা হয়, যেগুলো পাহাড়ের নিচে থাকা বাংকার ভেদ করতে পারে।
ইরানের ফোরদো পরমাণু স্থাপনাটি পাহাড়ের ভেতরে অবস্থিত। হামলার আগেই ইরান ওই স্থাপনার ভেন্টিলেশন শ্যাফটগুলো কংক্রিট দিয়ে ঢেকে ফেলার চেষ্টা করে। তবে মার্কিন পরিকল্পনাকারীরা সেই বদলও বিবেচনায় নিয়ে হামলার পরিকল্পনা সাজান। হামলায় ব্যবহৃত ৩০,০০০ পাউন্ডের বাংকার-বাস্টার বোমাগুলো “পরিকল্পনামাফিক কাজ করেছে” বলেও জানান জেনারেল কেইন।
স্লো-মোশন ভিডিওতে দেখা যায়, বোমাটি শেল্টার ভেদ করে আগুনের গোলা সৃষ্টি করছে। যদিও অভ্যন্তরের ফুটেজ না থাকায় সরাসরি ধ্বংসের প্রমাণ এখনও নেই।
কেইন এবং হেগসেথ শুধু ফোরদো স্থাপনাটি নিয়ে কথা বলেন। কিন্তু নতাঞ্জ ও ইসফাহানের ওপর হওয়া বাকি দুই হামলার কথা পুরোপুরি উপেক্ষা করেন।
প্রাথমিক মূল্যায়নে পেন্টাগনের ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (DIA) বলছে, ইরানের পরমাণু কর্মসূচির মূল অংশ নষ্ট হয়নি, এটি হয়ত কয়েক মাস পিছিয়েছে মাত্র। তবে CIA পরিচালক জন র্যাটক্লিফ বলছেন, স্থাপনাগুলো ধ্বংস হয়েছে এবং পুনর্গঠনে বছর লেগে যাবে।
পেন্টাগনের সংবাদ সম্মেলনের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশাল’-এ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “যেসব গাড়ি বা ট্রাক দেখা গেছে, সেগুলো ইউরেনিয়াম সরানোর জন্য নয়, বরং কংক্রিট ঢালার জন্য এসেছিল।” তিনি আবারও দাবি করেন, “কিছুই সরানো হয়নি।”
মুমু ২
