
কাটজ বলেন, “আমি এমন কোনো পরিস্থিতি দেখছি না যেখানে ইরান আবার তার পরমাণু স্থাপনাগুলো পুনর্গঠন করতে পারবে।” তার বক্তব্যে ইঙ্গিত পাওয়া যায়, ইসরায়েল ভবিষ্যতেও ইরানের পরমাণু সক্ষমতা ধ্বংসে প্রস্তুত এবং যুক্তরাষ্ট্র তাতে সম্মতি দিয়েছে।
এই মন্তব্য এমন এক সময় এলো, যখন মাত্রই শেষ হয়েছে ইরান-ইসরায়েলের ১২ দিনের সরাসরি সংঘর্ষ, যা একটি যুক্তরাষ্ট্র-মধ্যস্থ যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে থেমে যায়। সংঘর্ষের সময় ইরানে মার্কিন হামলায় ফোর্ডো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহান অঞ্চলে পারমাণবিক স্থাপনাগুলো লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। যদিও ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি দাবি করেছেন, মার্কিনপক্ষ এ হামলার প্রভাব ‘অতিরঞ্জিত’ করে প্রচার করছে।
কাটজ আরও জানান, যুদ্ধ চলাকালীন ইসরায়েল খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। তার ভাষায়, “আমরা খামেনিকে নির্মূল করতে চেয়েছিলাম, তবে অপারেশন চালানোর মতো বাস্তবিক সুযোগ আসেনি।”
বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতার ওপর হামলার চেষ্টা সংঘাতকে আরও ভয়াবহ রূপ দিতে পারত। খামেনি কেবল ইরানের শীর্ষ নেতা নন, তিনি বিশ্বের কোটি শিয়া মুসলমানের জন্য একজন আধ্যাত্মিক নেতাও।
সূত্র - https://www.aljazeera.com/news/2025/6/26/we-wanted-to-eliminate-khamenei-israels-defence-minister
সানজানা