
ছবি: সংগৃহীত।
মধুমতী নদীতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের জেরে নিখোঁজ হওয়া এক জেলের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার পাচুড়িয়া ঘাট এলাকায় নদীতে ভাসমান অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়। মধুমতী নদীটি মাগুরা ও ফরিদপুরের সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত।
নিহতের নাম শৌখিন খান (৪০)। তিনি মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার পাল্লা চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে, ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার চণ্ডিবিলা মাঝিপাড়া ঘাট এলাকায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার রাত ১০টার দিকে শৌখিন খান ও হুমায়ুন শেখ নামে দুই জেলে 'চায়না জাল' ফেলে মাছ ধরতে নদীতে যান। একই সময় ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার নওপাড়া গ্রামের জব্বার মোল্লা ও রবিউল মোল্লাসহ কয়েকজন জেলে ওই এলাকায় মাছ ধরছিলেন। রাত ২টার দিকে মাছ ধরা শেষে শৌখিন ও হুমায়ুন বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় শৌখিনের নৌকা জব্বার মোল্লার জালের ওপর দিয়ে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়।
একপর্যায়ে জব্বার মোল্লা বৈঠা দিয়ে শৌখিনকে আঘাত করলে তিনি নদীতে পড়ে গিয়ে নিখোঁজ হন।
পরে খবর পেয়ে ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালায়। তবে সে সময় নিখোঁজ জেলেকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
নিখোঁজের খবরে স্বজনরা ও এলাকাবাসী বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই মধুমতী নদীর মাঝিপাড়া ঘাট এলাকায় আহাজারি করতে থাকেন।
নিহত শৌখিন খানের চাচাতো ভাই আলী আফজাল বলেন, “আমার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। হঠাৎ ঝগড়া বাধিয়ে জব্বার ও রবিউল মোল্লা তাঁকে মারধর করে নদীতে ফেলে দেন। ভাই ছিল চার সদস্যের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তাঁর একটি প্রতিবন্ধী মেয়ে ও এক অসুস্থ ছেলে আছে। এখন ভাইয়ের স্ত্রী দিশেহারা অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। আমরা এই ঘটনার বিচার চাই।”
মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম নুরুজ্জামান জানান, “ঘটনার তদন্ত চলছে। প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
নুসরাত