ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৮ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

ভর্তির ৮ মাস পর নবীনবরণ: নতুন যাত্রার সূচনালগ্নে বরণ অনুষ্ঠান ও অনুপ্রেরণার বার্তা

রাশেদুল ইসলাম সম্রাট, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত: ২৩:২৪, ২৭ জুন ২০২৫; আপডেট: ২৩:২৫, ২৭ জুন ২০২৫

ভর্তির ৮ মাস পর নবীনবরণ: নতুন যাত্রার সূচনালগ্নে বরণ অনুষ্ঠান ও অনুপ্রেরণার বার্তা

ছবিঃ জনকণ্ঠ

ভর্তির দীর্ঘ আট মাস পর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের নবাগত শিক্ষার্থীদের জন্য আনুষ্ঠানিক নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে আয়োজিত এই বরণ অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত হয় এক নতুন অধ্যায়, যা তাদের উচ্চশিক্ষার পথচলায় অনুপ্রেরণা জোগাবে বলে আশা করা যায়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. একেএম আজহারুল ইসলাম।

নিজের বক্তব্যে প্রধান অতিথি নবীনদের উদ্দেশ্যে বলেন, "শিক্ষা শুধু তথ্য জানার বিষয় নয়, এটি ভবিষ্যতের পথ আলোকিত করার এক নির্ভরযোগ্য আলো। একজন মানুষের চিন্তা, উপলব্ধি এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা গড়ে ওঠে এই শিক্ষার ভিত্তিতেই।"

তিনি আরো বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয় কেবল পাঠ্যপুস্তক মুখস্থ করার জায়গা নয়; এটি একটি চিন্তার জগৎ, যেখানে নতুন জ্ঞান সৃষ্টি হয় গবেষণার মাধ্যমে এবং বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনা ও মতবিনিময়ের মাধ্যমে সৃজনশীলতা প্রসার লাভ করে।"

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন ড. মোহাম্মদ তানভীর কায়ছার। নবীনবরণ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. হাফিজ আশরাফুল হক, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন মো. হারুন-অর-রশিদ, আইন অনুষদের ডিন সরদার কায়সার আহমেদ, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন ড. ধীমান কুমার রায় এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. ইসরাত জাহান। প্রত্যেক বক্তার কথায় শিক্ষার্থীদের প্রতি প্রত্যাশা, দিকনির্দেশনা ও ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা উঠে আসে।

নবাগতদের জন্য দিনটি ছিল শুধু আনুষ্ঠানিক পরিচয়ের নয়, বরং এক অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ প্রেরণার উৎসও। দিনব্যাপী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিকেলে মুক্তমঞ্চেই আয়োজন করা হয় এক বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যেখানে শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় উঠে আসে সৃজনশীলতা ও প্রাণচাঞ্চল্য।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, দীর্ঘ প্রশাসনিক প্রক্রিয়া ও বিভিন্ন কারণে নবীনবরণ অনুষ্ঠান বিলম্বে হলেও শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে এগিয়ে নিতে এ আয়োজনে কোনো ঘাটতি রাখা হয়নি। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি প্রক্রিয়াও চলছে পুরোদমে।

এ নবীনবরণ শুধু একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়—এটি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি শক্তিশালী বার্তা: তারা এখন এমন এক স্থানে প্রবেশ করেছে, যেখানে তাদের চিন্তা, স্বপ্ন ও সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত। এটি তাদের জীবনের এক নতুন অধ্যায়, যার শুরুটা হলো সম্মান, আন্তরিকতা ও সম্ভাবনার শুভেচ্ছায়।

আলীম

আরো পড়ুন  

×