
দৈনিক জনকণ্ঠ
ঢাকার ব্যস্ত নগরজীবনে দাঁড়িয়ে থাকা সরকারি তিতুমীর কলেজ যেন এক সবুজ আশ্রয়।বনানীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটিশুধু পড়ালেখার কেন্দ্রই নয়,এটি প্রাকৃতিক পরিবেশের অপার সম্ভার।
আর এই কলেজের নয়নাভিরাম সবুজ সম্ভারে দাঁড়িয়ে আছে একটি শতবর্ষী কড়ই গাছ—নীরব, স্থির, অথচ অনেক কথা বলা এক জীবন্ত ইতিহাস।
এটি শুধুই একটি গাছ নয়—এ যেন একটি যুগের স্মৃতি। কলেজের পুরোনো ভবনের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এই বিশাল গাছটি দেখলেই বোঝা যায়, সে অনেক কিছু দেখেছে, অনেক কিছু জানে। ছাত্রদের পদচারণা, আন্দোলনের স্লোগান, পরীক্ষার আগের উদ্বিগ্ন মুখ, বন্ধুত্বের আড্ডা—সব কিছুই গাছটির ছায়ায় ঘটেছে বহুবার।
বিশাল ডালপালা ছড়িয়ে থাকা এই গাছটির নিচে বসেই পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছে হাজারো শিক্ষার্থী,কাটিয়েছে ছুটির ফাঁকে গল্পগুজবের মুহূর্ত।
আজকের শিক্ষার্থীরাও এই গাছের নিচে বসে ছবি তোলে, গল্প করে, মোবাইলে স্মৃতি ধরে রাখে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, এই গাছের ছায়ায় বসে তারা শুধু বিশ্রামই নেন না, বরং পড়াশোনাও করেন, বন্ধুত্বের গল্পও হয়। কারও মতে, গাছটির নিচে বসলে যেন এক ধরনের আত্মিক প্রশান্তি পাওয়া যায়, যা শহরের কোলাহলে পাওয়া দুর্লভ।
গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী পাভেল বলেন,গাছটি আমার অনেক প্রিয়। আমি যখন ক্লাসের বাইরে একটু বিশ্রাম নিতে যাই, তখন সেই গাছের নিচে বসি। অনেক সময়ই ভাবি, এই গাছটি কত ইতিহাস দেখেছে—কত স্মৃতি সঞ্চয় করেছে। আমি চাই সেই গাছটা যত্নসহকারে বাঁচিয়ে রাখা হোক, যেন আমরা আমাদের ইতিহাস আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য একসঙ্গে ধরে রাখতে পারি। তার ছায়ায় আরও অনেক প্রজন্ম এসে বসুক, স্বপ্ন দেখুক।
তবে গাছটির শরীরে এখন বয়সের ছাপ স্পষ্ট। গাছটি যেন তার শত বছরের ভার বইতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে।সময়ের সাথে সাথে গাছটির কিছু শাখা দুর্বল হয়ে পড়েছে। পোকামাকড়ের আক্রমণও দেখা যাচ্ছে মাঝে মাঝে।
হ্যাপী