ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৭ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২

অস্ট্রেলিয়ায় ২০৩০ সালের মধ্যে যে তিন পেশায় প্রয়োজন ৩.৫ মিলিয়ন কর্মী

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭:২৬, ২৭ জুন ২০২৫

অস্ট্রেলিয়ায় ২০৩০ সালের মধ্যে যে তিন পেশায় প্রয়োজন ৩.৫ মিলিয়ন কর্মী

ছবি: সংগৃহীত

নতুন এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ায় ২০৩০ সালের মধ্যে ৩.৫ মিলিয়ন দক্ষ কর্মীর প্রয়োজন হবে প্রযুক্তি, ফিন্যান্স ও বিজনেস খাতে। তবে এখন যে হারে দক্ষতা গড়ে তোলা হচ্ছে, তা অব্যাহত থাকলে প্রায় ২.৫ লাখ কর্মীর ঘাটতি দেখা দেবে—এমনই সতর্কতা দিয়েছে ফিউচার স্কিলস অর্গানাইজেশন।

অস্ট্রেলিয়ায় ২০৩০ সালের মধ্যে যে ২.৫ লাখ দক্ষ কর্মীর ঘাটতি দেখা দেবে, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঘাটতি হবে প্রযুক্তি খাতে—প্রায় ১,৩১,০০০ জন। এর পরেই আছে ফিন্যান্স খাতে ৬৪,০০০ জন এবং বিজনেস খাতে ৪৮,০০০ জন। এই ঘাটতি পূরণ করতে হলে দেশের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ ব্যবস্থায় অবিলম্বে পরিবর্তন আনতে হবে—এমনটাই উঠে এসেছে ‘Workforce Plan 2025: Pathways to Impact’ শীর্ষক সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিনব প্রযুক্তি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ইতোমধ্যেই অস্ট্রেলিয়ার কর্মজগতকে আমূল বদলে দিচ্ছে। এই বাস্তবতায় শিক্ষাব্যবস্থাকে হতে হবে আরও দ্রুত, নমনীয় ও ডিজিটাল স্কিল-সহায়ক। ফিউচার স্কিলস অর্গানাইজেশন-এর CEO প্যাট্রিক কিড বলেন, “বর্তমানের শিক্ষাব্যবস্থা যদি যুগোপযোগী না হয়, তাহলে ভবিষ্যতের বিশাল কর্মসংস্থান সুযোগ অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকদের নাগালের বাইরে চলে যাবে।”

তিনি এই সংকট সমাধানে চারটি মূল কৌশলের কথা বলেন:
১) দক্ষতাভিত্তিক শেখার পদ্ধতি আরও শক্তিশালী করতে হবে,
২) শিক্ষা ব্যবস্থার সব স্তরে ডিজিটাল স্কিল অন্তর্ভুক্ত করতে হবে,
৩) শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন ও বাস্তবতা অনুযায়ী শিক্ষার্থী-কেন্দ্রিক পাঠক্রম তৈরি করতে হবে,
৪) এবং বৈচিত্র্যকে কৌশলগত সম্পদ হিসেবে গ্রহণ করতে হবে, যেন ভিন্ন পটভূমি থেকে আসা প্রতিভাবানদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়।

বর্তমানে এই তিনটি খাতে প্রতি চারজন পেশাদার কর্মীর একজন অভিবাসী ভিসায় কাজ করছেন। কিন্তু শুধু অভিবাসনের ওপর নির্ভর করে ভবিষ্যতের এই বিশাল ঘাটতি পূরণ সম্ভব নয়, বলছে গবেষণা।

বিশ্ববিদ্যালয় ও পলিটেকনিক শিক্ষায় কমপ্লিশন রেট হ্রাস, প্রশিক্ষণ ও চাকরিতে উচ্চ হারে ঝরে পড়া, এবং মাঝপথে ক্যারিয়ার পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা—এই সব চাপ মোকাবেলায় reskilling ও upskilling বিনিয়োগের আহ্বান জানানো হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ান কাউন্সিল অব ট্রেড ইউনিয়নস এর সহ-সচিব লিয়াম ও’ব্রায়েন বলেন, “এই ২.৫ লাখ দক্ষ কর্মীর ঘাটতি আসলে একটি স্পষ্ট সতর্ক সংকেত। কর্মীদের ধরে রাখতে হলে চাকরির মান বাড়াতে হবে এবং প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাকে আরও দ্রুত ও বাস্তবমুখী করতে হবে।”

তিনি আরও জোর দিয়ে বলেন, “এই স্কিল গ্যাপ দূর করতে হলে আমাদের মানুষের ওপরই বিনিয়োগ করতে হবে—তাদের শেখার, পরিবর্তনের এবং নতুন অর্থনীতিতে টিকে থাকার সুযোগ করে দিতে হবে।”

মুমু ২

×