গাজা উপত্যকার সরকার পরিচালিত মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সহায়তায় পরিচালিত ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রগুলোতে ‘যুদ্ধাপরাধ’ সংঘটিত হচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েলি পত্রিকা হা’আরেতজ-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে কয়েকজন ইসরায়েলি সেনার দেওয়া ‘চমকপ্রদ স্বীকারোক্তি’ অনুযায়ী, গাজায় ত্রাণের জন্য অপেক্ষায় থাকা ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনি বেসামরিক মানুষদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে গুলি করা হয়েছে। এই স্বীকারোক্তিগুলোকে যুদ্ধাপরাধের ‘জ্বলন্ত প্রমাণ’ হিসেবে উল্লেখ করেছে গাজার প্রশাসন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “প্রতিবেদনটিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো ধরনের হুমকি সৃষ্টি না করেও নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোর সরাসরি সামরিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খাদ্যের আশায় শান্তিপূর্ণভাবে অপেক্ষমাণ জনতার ওপর ভারী মেশিনগান, কামান ও শেল নিক্ষেপ করা হয়েছে।”
গাজার মিডিয়া অফিস বলছে, এসব ঘটনা প্রমাণ করে যে, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী ত্রাণ ও সহায়তার আড়ালে একটি ‘সাংগঠনিক গণহত্যা নীতি’ বাস্তবায়ন করছে।
উল্লেখ্য, গাজায় চলমান যুদ্ধের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ত্রাণ বিতরণের সময় ইসরায়েলি হামলায় বহু বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এসব অভিযানের পক্ষে ‘নিরাপত্তা রক্ষার প্রয়োজনীয়তা’ দেখানো হলেও আন্তর্জাতিক মহলে বিষয়টি নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
এদিকে, হা’আরেতজের প্রতিবেদনে সেনাদের নিজ মুখে দেওয়া বয়ানেই উঠে এসেছে, কীভাবে তারা ক্ষুধার্ত জনগণকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে—যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী গুরুতর অপরাধ।
ফিলিস্তিনি প্রশাসনের দাবি, এই ঘটনায় জড়িতদের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (ICC) বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং অবিলম্বে যুদ্ধাপরাধ তদন্ত শুরু করা উচিত।
Jahan
