
ছবি: সংগৃহীত।
ফিলিস্তিন দখলের পর এবার ইউরোপের ছোট দ্বীপদেশ সাইপ্রাসে ইসরাইলিদের ব্যাপক ভূমি ক্রয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশটির রাজনৈতিক ও নাগরিক মহল। বামপন্থী আকেল পার্টি সংসদে দুটি বিল উত্থাপন করে এই পরিস্থিতি মোকাবেলার আহ্বান জানিয়েছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক ইরান-ইসরাইল যুদ্ধ পর্যন্ত ইহুদিদের জন্য নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে পরিচিত সাইপ্রাসে বর্তমানে ইসরাইলি নাগরিকরা বিপুল পরিমাণ রিয়েল এস্টেট কিনছে। আকেল পার্টির দাবি, এসব জমির অবস্থান দেশটির গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ও সংবেদনশীল এলাকাগুলোর আশপাশে।
আকেল নেতা স্টেফানো সাইবিসি বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে লিমাসোল ও লারনাকা অঞ্চলে এমন হারে ইসরাইলিরা জমি কিনছেন, যাতে গেটেড কমিউনিটি গড়ে উঠছে, যেখানে অন্যদের প্রবেশাধিকার থাকছে না। সেখানে গড়ে উঠছে জায়নবাদী স্কুল ও সিনাগগ।”
তিনি সতর্ক করে বলেন, “যদি এখনই ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, ভবিষ্যতে আমরা দেখব আমাদের নিজেদের ভূমিও আমাদের থাকবে না।”
ইসরাইলিরা কীভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের নাগরিক হয়েও এত সহজে জমি কিনছেন, তা তদন্তের দাবি উঠেছে। আকেল পার্টি ‘গোল্ডেন ভিসা’ ব্যবস্থায় কড়াকড়ি আরোপ এবং বিকল্প ক্রয়পথ পর্যালোচনার দাবি জানিয়ে আইন প্রস্তাব করেছে। এই ভিসার আওতায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের নাগরিকরা সাইপ্রাসে ৩ লাখ ইউরো বা তার বেশি মূল্যের রিয়েল এস্টেট বা কোম্পানির শেয়ার কিনে বসবাসের অনুমতি পান।
সরকারি তথ্যমতে, ২০২১ সাল থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত লারনাকায় ইসরাইলিরা ১,৪০৬টি এবং লিমাসোলে ১,১৫৪টি সম্পত্তি কিনেছেন। এর মধ্যে যথাক্রমে ৪৮১ ও ৫১১টির মালিকানা দলিল ইতিমধ্যেই ইস্যু করা হয়েছে। এই পরিসংখ্যানে ইসরাইলিরা সম্পত্তি ক্রয়ের দিক থেকে চতুর্থ অবস্থানে।
ইতালি, স্পেন ও জার্মানির মতো বড় দেশগুলো ইতোমধ্যেই রিয়েল এস্টেট বিক্রিতে বিদেশি নাগরিকদের জন্য বিধিনিষেধ জারি করেছে। সাইপ্রাসেও একই ধরনের নিয়ন্ত্রণের দাবিতে সরব হয়ে উঠছে বিভিন্ন মহল।
নুসরাত