
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চীনে উৎপাদিত পণ্যের উপর নির্ভরতা কমানোর ঘোষণা দিয়েছে Nike, যাতে আমদানির উপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্কের প্রভাব হ্রাস করা যায়। পাশাপাশি কোম্পানিটি জানিয়েছে, তাদের প্রথম প্রান্তিকে প্রত্যাশার তুলনায় রাজস্বের পতন কম হবে।
এই ঘোষণা ও বৃহস্পতিবার প্রকাশিত আয়ের প্রতিবেদন প্রকাশের পর শুক্রবার সকালে বাজার খোলার সঙ্গে সঙ্গেই Nike-র শেয়ার মূল্য ১৫ শতাংশ বেড়ে যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বের প্রধান বাণিজ্য অংশীদারদের উপর যে ব্যাপক শুল্ক আরোপ করেছেন, তাতে Nike-র প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত খরচ হতে পারে বলে কোম্পানির নির্বাহীরা আয়ের প্রতিবেদনের পর এক ফোন কলে জানান।
Nike-র চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার ম্যাথিউ ফ্রেন্ড জানান, চীন Nike-র যুক্তরাষ্ট্রে আমদানিকৃত জুতার প্রায় ১৬ শতাংশের যোগান দেয়, এবং এটি ট্রাম্পের শুল্ক বৃদ্ধির সবচেয়ে বড় লক্ষ্য। তবে ২০২৬ সালের মে মাসের মধ্যে এই হার “এক অঙ্কের উচ্চ শতাংশে” নামিয়ে আনার পরিকল্পনা করেছে কোম্পানিটি, এবং তারা চীনের উৎপাদন অন্য দেশে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে।
তিনি আরও বলেন, “আমরা আমাদের সোর্সিং স্ট্র্যাটেজি পুনর্বিন্যাস করব এবং উৎপাদনকে বিভিন্ন দেশে পুনর্বণ্টন করব, যাতে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন খরচের চাপ কমানো যায়।”
বিশ্বের দুই বৃহৎ অর্থনীতির মধ্যে চলমান শুল্ক-সংক্রান্ত বিরোধে ভোক্তা পণ্য খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে Nike জানিয়েছে, তারা আর্থিক চাপ কমানোর দিকে মনোযোগ দিচ্ছে। শুল্কের প্রভাব মোকাবিলায় কর্পোরেট খরচ কমানো হবে কিনা, তা “মূল্যায়ন করবে” বলেও জানান ফ্রেন্ড। ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে কিছু পণ্যের দাম বাড়ানোর ঘোষণাও দিয়েছে কোম্পানিটি।
Jahan