
ছবিঃ জনকণ্ঠ
কুষ্টিয়ার মিরপুরে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতির ঘটনায় আলোচিত একাধিক মামলার পলাতক আসামি হাদিউল ওরফে হাদিকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৭ জুন) সকাল ৯ টার দিকে উপজেলার কামিরহাট বালিকা বিদ্যালয়ের পেছনের এলাকা থেকে তাকে আটক করে মিরপুর থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার হাদিউল মিরপুর উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের কামিরহাট গ্রামের হযরত আলীর ছেলে।
পুলিশ জানায়, তার বিরুদ্ধে ডাকাতি, অস্ত্র, ছিনতাই ও নাশকতাসহ অন্তত ১১টি মামলা রয়েছে।
গত বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে মিরপুর থানাধীন ছাতিয়ান কালিতলা থেকে দুর্গাপুর মাঠের নির্জন এলাকায় ঘটে যায় এক হৃদয়বিদারক ঘটনা। রাজশাহী থেকে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে আসা একটি লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে হামলা চালায় সশস্ত্র ডাকাত দল।
এ সময় মৃতের স্বজনদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতরা প্রায় ৩২ হাজার ৬০০ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটে নেয়। এমনকি লাশ আছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য মৃত নারীর মুখের কাপড়ও সরিয়ে দেখে তারা।
এ ঘটনায় পুলিশ মাঠে নামে এবং গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় বৃহস্পতিবার দিনভর অভিযান চালায়। শুক্রবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে কামিরহাট এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকা ডাকাত দলের অন্যতম সদস্য হাদিকে গ্রেপ্তার করে।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হাদিউল লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে।
তিনি আরও জানান, চক্রটি রাতে জুয়া খেলার পর বিভিন্ন অপরাধে লিপ্ত হতো। হাদির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বাকি সদস্যদের ধরতে পুলিশ একাধিক টিম নিয়ে কাজ করছে।
আটক হাদিউলকে শুক্রবার দুপুরে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে তার রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, বুধবার রাত ১০টার দিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কুষ্টিয়ার পোড়াদহ ইউনিয়নের সৌদি রাজপুর গ্রামের আয়েশা খাতুন (৬০) মৃত্যুবরণ করেন। রাতেই মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে স্বজনরা রাজশাহী থেকে রওনা দেন। পথে দুর্গাপুর মাঠ এলাকায় ডাকাতদের কবলে পড়ে তারা।
আলীম