
রাজবাড়ীর পাংশায় গড়াই নদীর উপর নির্মাণাধীন একটি সেতুর গার্ডার ভেঙে পড়েছে। মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকেলে সেতুর ৭ নম্বর স্পেনের ২ নম্বর গার্ডারটি হঠাৎ ভেঙে পড়ে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এবং স্থানীয় প্রকৌশল বিভাগ বলছে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে ‘পল্লি সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ প্রকল্প’-এর আওতায় রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলা ও মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার সংযোগস্থলে গড়াই নদীর উপর ৬৫০ মিটার দীর্ঘ পিএসসি গার্ডার সেতু নির্মাণ শুরু হয়। ৬৩ কোটি ৯১ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ‘এম.এম. বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড’।
প্রকল্পটি ২০২৩ সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ইতিমধ্যে দুই দফা সময় বাড়িয়েও এখনো প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ অসম্পূর্ণ রয়েছে।
সেতুর গার্ডার ভেঙে পড়ার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয়েছে ব্যাপক সমালোচনা। কেউ অভিযোগ করছেন নিম্নমানের কাজের কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, কেউ আবার বলছেন, “জোড়া তালি দিয়ে চলছে পাংশার নাদুরিয়ার গড়াই সেতুর কাজ”।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে দেখা গেছে, গার্ডারটি সেতুর ৭ নম্বর স্পেনের দুটি পিলারের ওপর হেলে পড়ে রয়েছে এবং এতে দুটি স্থানে ভাঙন দেখা গেছে। পাশাপাশি থাকা আরেকটি গার্ডারও বেঁকে গেছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রজেক্ট ম্যানেজার বিজন কুমার জানান, “হাইড্রোলিক জ্যাকের মাধ্যমে গার্ডারটি স্থানান্তর করার সময় এটি পড়ে যায়। গার্ডারটির ওজন প্রায় ১৭০ টন। বাতাসের কারণে নয়, এটা কেবল একটি যান্ত্রিক সমস্যা। এছাড়া অন্য কোনো সমস্যা নেই।”
এ বিষয়ে অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত পাংশা উপজেলা প্রকৌশলী খন্দকার রাহাত ফেরদৌস বলেন, “এটি নির্মাণজনিত ত্রুটি নয়, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সরেজমিনে এসে বিষয়টি পর্যালোচনা করবেন এবং তাঁদের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
স্থানীয়দের দাবি, এমন একটি ব্যয়বহুল ও গুরুত্বপূর্ণ সেতু প্রকল্পে এমন দুর্ঘটনা দৃষ্টান্তমূলক তদন্ত ও জবাবদিহিতা দাবি করে।
প্রয়োজনে এই প্রতিবেদনে ছবি, প্রতিক্রিয়া, কিংবা প্রকল্পের আগের অগ্রগতি ও বিলম্ব নিয়ে আরও তথ্য যুক্ত করা যেতে পারে। চাইলে আমি সহায়তা করতে পারি।
Jahan