
ছবি: সংগৃহীত
বয়স আর কতই হবে খুব বেশি হলে ১১ বা ১২ তারও স্বপ্ন ছিল স্কুলে যাওয়ার, কিন্তু তাকে সংসারের খরচ যোগাতে কাজে করতে হচ্ছে।
মানিকগঞ্জ সদরে রবিউল হুসাইন অটো চালিয়ে যোগান সংসারের খরচ রবিউলের বাবা পাঁচ ভাই বোন এবং মা-বাবাকে নিয়ে সংসারে খরচ জগতে যেখানে হিমশিম খাচ্ছে সেখানেই হাল ধরেছেন ছোট্ট রবিউল।
রবিউল জানায়, পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে তৃতীয় রবিউল দুই বোন বড় এক ভাই এক বোন ছোট । ছোট ভাইবোনে লেখাপড়া করাতে সংসারে হাল ধরেছেন রবিউ
অটো চালিয়ে যা আয় হয়, তা দিয়ে সংসারের খরচ এবং ছোট ভাইবোনের লেখাপড়ার খরচ যোগাতে হিমশিম খেতে হয়। কারণ কোনোদিন ইনকাম হয় আবার কোনোদিন মোটামুটি।
তবে অটো চালিয়ে নিজে আয় করে সংসার চালানো ও ভাইবোনকে পড়াশোনা করানো খুব গর্বের বলে মনে করে ‘ভালোই লাগে, সারাদিন যা আয় করি, তা দিয়ে নিজে চলি বাবা , মাকে দেই, ছোট ভাইবোনের পড়ালেখার খরচও দেই;
প্রতিদিন রবিউলের অটোতে করে অনেকেই স্কুলে যাতায়াত করে। বিষয়টা কেমন লাগে? জিজ্ঞাসা করলে বলে, ‘দেখে আমার খুব খারাপ লাগে। আমারও ইচ্ছা হয় ওদের মতো করে ব্যাগ নিয়ে স্কুলে যাওয়ার। কিন্তু আমার সেই স্বপ্ন দেখে লাভ কী? আমার তো আর পড়ালেখা করা হবে না। কারণ অটো চালিয়ে জীবন চালাতে হয়।
কথা বলতে বলতে চোখ ছলছল করে ওঠে। সে আরও বলে, ‘স্কুলে যাওযার স্বপ্ন দেখে লাভ নেই। আমার এ স্বপ্ন কোনোদিন পূরণ হবে না।’
তার মতো আরও অনেক শিশু তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। পড়ালেখার অধিকার তো দূরের কথা, সংসারের বোঝা টানতে হচ্ছে তাদের। ইচ্ছে থাকলেও স্কুলে যাওয়া হচ্ছে না।
ইমরান