
জামালপুরে বিআরএফ ইয়ুথ ক্লাবের উদ্যোগে জেলার অন্যতম স্বনামধন্য দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান "জামিয়া আরাবিয়া মিনহাজুল উলূম মাদরাসায়" চার শতাধিক শিক্ষার্থীর ব্লাড গ্রুপিং কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
রবিবার (২৭ জুন ২০২৫) বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন (বিআরএফ) এর উদ্যোগে "ব্লাড ফর থ্যালাসেমিয়া" শীর্ষক এ কর্মসূচির আওতায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্লাড গ্রুপ নির্ণয়ের কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
ব্লাড গ্রুপিং কার্যক্রমে অংশ নেওয়া জামালপুর মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী আনিসুর রহমান বলেন,রক্তদান একটি মহৎ মানব সেবা, রক্তদানে মানুষ বাঁচে। একটি হসপিটালে একজন মুমূর্ষু রোগীর রক্ত প্রয়োজন হলে তার অসহায়ত্ব প্রকাশ করে। এই অসহায়ত্বের সময় রক্তদানের মাধ্যমে মা বাবা ভাই বোন এর মুখে ফুটে উঠে এক এক তৃপ্তির হাসি, যা যেকোন মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে যেতে বাধ্য।তাই আমি জামালপুরে বিআরএফের এই কার্যক্রমকে অন্তরে অন্তস্থল থেকে জানাই ধন্যবাদ। তারা যেন ভবিষ্যতেও রক্তদানের এই কর্মসূচির মাধ্যমে মানব সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে পারে এবং প্রতিটি মুমূর্ষ রোগীর পাশে দাঁড়াতে পারে এই দোয়া ও আশা ব্যক্ত করি।
জামালপুর মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. আহনাফ হাসান আবীর বলেন, দ্বিতীয় বারের মতো বিআরএফ-এর ব্লাড গ্রুপিং এবং রক্তদান কর্মসূচিতে আসা। এর উদ্দেশ্য বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত নিয়মিত রক্তগ্রহীতাদের রক্তের যোগান দেয়া। তাদের এই সৎ উদ্যোগ অসংখ্য মৃত্যুপথযাত্রীর জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে।জরুরী মুহুর্তে এসব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আরো বৃহৎ পরিসরে এই প্রোগ্রাম হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।
জামিয়া আরাবিয়া মিনহাজুল উলূমের প্রিন্সিপাল মুফতি ইবরাহীম হাবীব বলেন,বিআরএফ ইয়ুথ ক্লাব থ্যালাসেমিয়া সহ অন্যান্য রোগীদের বাঁচাতে মাদরাসা বেইজড যে রক্তদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, তা একটি ব্যতিক্রমী ও গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। আমি আমার প্রতিষ্ঠান থেকে মানুষের জীবন বাঁচাতে সবসময় পাশে থাকব, ইনশাআল্লাহ।
উল্লেখ্য, বিআরএফ ইয়ুথ ক্লাব একটি গবেষণাধর্মী সেবামূলক সামাজিক সংগঠন। সংগঠনটি কাজ করছে রক্তদান, থ্যালাসেমিয়া, বৃক্ষরোপণ, স্কিল ডেভেলপমেন্ট সহ তারুণ্যের ইতিবাচক বিকাশে।
আলীম