ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বে প্রথমবারের মতো হিউম্যানয়েড বা মানুষের মতো দেখতে একটি উড়ন্ত রোবট তৈরি করেছে ইতালির বিজ্ঞানীরা। কিন্তু নতুন প্রযুক্তির এই চমক প্রদর্শনের পর তা যতটা প্রশংসা কুড়িয়েছে, তার চেয়ে বেশি হাস্যরসের শিকার হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
ইতালিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি সম্প্রতি ইউটিউবে ‘iRonCub MK3’ নামের এই রোবটের একটি ভিডিও প্রকাশ করে। ভিডিওতে দেখা যায়, শিশুর মতো দেখতে ৩ ফুট উচ্চতা ও ২২ কেজি ওজনের একটি রোবটকে ঝুলন্ত অবস্থায় ধরে রাখা হয়েছে, এরপর সেটি ছোট জেট থ্রাস্টারের মাধ্যমে মাটি থেকে প্রায় ২০ ইঞ্চি উপরে উঠে যাচ্ছে।
দুর্যোগে সহায়তা করবে এই রোবট
প্রতিষ্ঠানটির গবেষকরা জানিয়েছেন, এই রোবট মূলত ভবিষ্যতের দুর্যোগ মোকাবিলা ও উদ্ধার অভিযানে ব্যবহারের লক্ষ্যে তৈরি করা হচ্ছে। এর ড্রোনের মতো উড়ার ক্ষমতা, ভূমিতে চলাফেরা ও জিনিসপত্র নাড়াচাড়ার ক্ষমতা ভবিষ্যতে উদ্ধার মিশনে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে। ভবনধস বা বিস্ফোরণের মতো বিপর্যয়ের পর ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে আহতদের সন্ধান ও উদ্ধার কাজে এটি কার্যকর হতে পারে বলে ধারণা।
তারা আরও বলছেন, এই ধরনের রোবট ভবিষ্যতে ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে—যেমন পারমাণবিক চুল্লি কিংবা রাসায়নিক দূষণের স্থানে—মানুষ ছাড়াই মেরামত ও পর্যবেক্ষণ কার্যক্রমে ব্যবহৃত হতে পারে।
টেকনোলজি প্রশংসিত, কিন্তু মুখের কারণে সমালোচিত
দুই বছরের গবেষণা ও পরীক্ষার পর তৈরি এই রোবটের ‘শিশুর মুখাকৃতি’ অনলাইনে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কেউ কেউ একে ‘মনস্টার বেবি’ বলে অভিহিত করছেন।
রেডিটে একজন ব্যবহারকারী লেখেন, ‘প্রযুক্তিটা দুর্দান্ত, কিন্তু এই মুখটা কেন এমন? মনে হচ্ছে আমার আত্মার গভীরে তাকিয়ে আছে।’ আরেকজন রসিকতা করে বলেন, ‘বিপ্লব শুরু হলে, এই বেবি-ফেস সাইবর্গকে গুলি করার আগে আপনি একটু হলেও ভাববেন। সেই মুহূর্তটাই ওর দরকার।’
তবে রোবটটি ইতোমধ্যে বহিরাঙ্গণ ও উইন্ড টানেল পরীক্ষায় সফল হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। যদিও এখনো এটি বাস্তবে ব্যবহারের উপযোগী নয়, তবে গবেষকরা বলছেন—এটি ভবিষ্যতের রোবোটিক্সে বড় পরিবর্তনের আভাস দিচ্ছে।
সূত্র: এনডিটিভি।
রাকিব
