
ব্যাঙের ছাতা
সূর্যি মামা সূর্যি মামা
কোথায় তুমি, কই?
এই ক’টা দিন মামার বাড়ি
বেড়াচ্ছো নিশ্চয়ই!
নেই তুমি তাই বলে মেঘের
বাড় বেড়েছে বাড়,
আকাশ কালো করে নিজের
কাত করেছে ঘাড়।
ক্ষোভে ফুঁসে মুখ করে ভার
কোন্ রাগে কোন্ জেদেÑ
না জানি ক্যান্ অঝোর ধারায়
যায় রে শুধু কেঁদে।
সেই কান্নার জলেই ভিজে
দাদুর টেকো মাথা,
ব্যাঙের ছাতা এঁকে খোকন
ভরিয়ে তোলে খাতা।
ইশকুলে যাই রোজ
রাতের শেষে আলোর পরি
দেয় রে খুলে দোর,
বাবার হাতে ভোরের সহজ
নরোম আলোর ভোর।
পাখিরা গায় ফুল ফুটে রয়
বাতাসও যায় বয়ে,
বাবার হাতেই সকাল হাসে
পূবালী রোদ হয়ে।
ঘাসের ডগায় শিশির হাসে
আনন্দ চুক চুক,
বাবার আদর স্নেহের কলস
টইটম্বুর সুখ।
অ আ ক খ এক দুই তিন
চার পাঁচ ছয় সাত,
বাবা আমার খেলার সাথী
শেখার ধারাপাত।
ঢেউয়ের সিঁড়ির ভাঙা গড়া
যায় না রাখা খোঁজ,
বাবার হাতের আঙুল ধরেই
ইশকুলে যাই রোজ।
বর্ষার কদম
নুশরাত রুমু
কদম ফুলের সুবাস নিয়ে
বর্ষা এলো ওই
পাড়ার যত ছেলেরা সব
বাঁধালো হইচই।
কেউ বা এলো ফুল কুড়োতে
কেউ বা ওঠে গাছে
কদম ফুলের সুবার মেখে
খুশিতে মন নাচে।
খোকন সোনা দৌড়ে এলো
তিনটি কদম নিয়ে
মায়ের খোঁপায় দেয় পরিয়ে
আয়না হাতে দিয়ে।