
রফিকের জীবনের সবচেয়ে কঠিন কাজ ছিল সকালে ঘুম থেকে ওঠা।
ঘড়ির অ্যালার্ম বেজে ওঠে, মা চেঁচায়, এমনকি পাশের বাসার মুন্না চকলেটের লোভ দেখায়- তবুও রফিক উঠে না।
স্কুলে যাওয়ার সময় সে দৌড়ে রিকশায় চড়ে, পরীক্ষায় গিয়ে কলম খুঁজে পায় না, হোমওয়ার্ক না করে বলে- "স্যার, ইলেকট্রিসিটি গ্যাপ ছিল।
একদিন স্কুলে ঘোষণা হলো: আগামীকাল সকাল ৮টায় শুরু হবে বিজ্ঞান মেলা। সবাইকে সকাল ৭:৩০-এর মধ্যে থাকতে হবে।
পুরো ক্লাস হাসল, কারণ সবাই জানে- রফিকের পক্ষে সকাল ৮টায় স্কুলে পৌঁছানো মানে চাঁদে হাঁটা।
কিন্তু সেদিন কিছু একটা ভিন্ন ঘটল।
রফিক রাতে ঘুমালো না। চা খেয়ে, ইউটিউবে "How to wake up early" দেখে, চারটা অ্যালার্ম সেট করে, এমনকি গায়ে "Wake up or die" লিখে ঘুমাতে গেল।
ভোর ৬টায় সে সত্যিই উঠে গেল! মা চোখ বড় বড় করে তাকালেন।
রফিক সেদিন শুধু সময়মতো স্কুলেই গেল না-তার প্রজেক্ট "পেঁয়াজ দিয়ে বিদ্যুৎ তৈরি" সবার মন জয় করে নিল।
প্রধান অতিথি তাকে জিজ্ঞেস করলেন,
"তুমি এত সকালে কীভাবে উঠলে?
রফিক গম্ভীর গলায় বলল:
"যেখানে পেঁয়াজ কাঁদায় মানুষকে, সেখানে আমি পেঁয়াজ দিয়ে আলো জ্বালাতে চেয়েছি। ঘুম তো ছাড়তেই হতো!
সবাই হেসে উঠল। আর সেই হাসির মাঝেই রফিক বুঝল-পরিশ্রম করলে সব সম্ভব।
এরপর থেকে সে আর ঘুমকাতুরে নয়। এখন সবাই তাকে ডাকে “মোটিভেশনাল রফিক ভাই” নামে।
বার্তা:
নিজেকে একবার ঠেলেই দেখো, হয়তো তোমার ঘুম পেরিয়ে একটা বিপ্লব অপেক্ষা করছে।
Mily