
ছোট-বড় খানাখন্দে ভরা সিলেট-গোয়াইনঘাট-সালুটিকর সড়কটি এখন জনভোগান্তির প্রতীক। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে সড়কটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে সালুটিকর বাজার থেকে তোয়াকুল ইউনিয়নের পেকেরখাল ব্রিজ পর্যন্ত অংশটুকু একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গোয়াইনঘাট সরকারি কলেজ থেকে মনরতল বাজার পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার সড়কজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য গর্ত। ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটি গত আড়াই বছরে সাতবার বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এলজিইডি সূত্র বলছে, ২০২২ থেকে এ পর্যন্ত গোয়াইনঘাট উপজেলার প্রায় ৩১২ কিমি সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
২০১৬ সালে শেষবার সড়কটি আংশিকভাবে সংস্কার করা হলেও ভারত থেকে নামা পাহাড়ি ঢলে ও সাম্প্রতিক বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ২০২৪ সালের ৩০ জানুয়ারি শুরু হয় আরসিসি ঢালাইয়ের কাজ, বরাদ্দ প্রায় ২৯ কোটি টাকা। বরিশালের দেলোয়ার হোসেনের অধীনে যৌথ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ডিসিএল অ্যান্ড এমডিএইচ (জেবি) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। কিন্তু নির্ধারিত সময় শেষে এখনও কাজের ৫০ শতাংশ সম্পন্ন হয়নি বলে দাবি উপজেলা প্রকৌশলীর। তবে স্থানীয়দের মতে, কাজের অগ্রগতি ৩০ শতাংশও হয়নি।
অনেক স্থানে ঢালাই করা অংশ ফেটে গেছে, ভেঙে পড়েছে। এতে একদিকে যেমন বাড়ছে দুর্ঘটনা, অন্যদিকে পর্যটন খাতে পড়ছে নেতিবাচক প্রভাব। সৌন্দর্যমণ্ডিত বিছানাকান্দি, পান্থুমাই ও জাফলংগামী পর্যটকেরা দুর্বল সড়ক ব্যবস্থার কারণে আসা কমিয়ে দিয়েছেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, এবারের ঈদে বিছানাকান্দি ও পান্থুমাইয়ে পর্যটক ছিল না বললেই চলে। পর্যটনের সাথে যুক্ত রেস্টুরেন্ট, হোটেল, পরিবহন মালিকরা জানান, “রাস্তা ঠিক না হলে আমাদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে।”
গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রকৌশলী হাসিব আহমেদ জানান, “ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। মানসম্পন্ন কাজ করতে গিয়ে গতি কিছুটা কম হলেও দ্রুতই কাজ শেষ হবে। কিছু অংশে মানের ঘাটতি থাকায় তা আবার মেরামত করা হবে।”
মিমিয়া