
নারীর দিকে তাকানো, হাস, টিস্যু, শশা, ফুল ছেঁড়ার মতো তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৯টি উপজেলায় গত ১ বছরে শত শত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রায় প্রতিদিনই পূর্ব বিরোধ, রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব বা ব্যক্তিগত ক্ষোভের জেরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের খবর আসছে।
-
নবীনগরে পা কেটে "জয়বাংলা" স্লোগানে আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠা, ভাতিজার দায়ের কোপে চাচার হাতের কব্জি কর্তনের ঘটনা।
-
সরাইলে পূর্ব বিরোধের জেরে গ্রামের দুই গোষ্ঠীর দফায় দফায় সংঘর্ষে ইউএনও ও ওসি আহত।
-
বিজয়নগরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ।
-
বাঞ্ছারামপুরে সংঘর্ষ আধিপত্য নিয়ে।
-
নাসিরনগরে শশা চুরি কেন্দ্র করে সংঘর্ষ।
-
আখাউড়ায় মসজিদের টাকার হিসাব নিয়ে মারামারি।
-
আশুগঞ্জে দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষ।
-
কসবায় আধিপত্য বিস্তারকে ঘিরে রক্তক্ষয়ী হামলা।
এমন ঘটনা প্রতিদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হচ্ছে।ঘটনাগুলো নিয়ে আলোচনা-সমালোচনায় সরব দেশ-বিদেশের বাংলাদেশিরা।
বিভিন্ন সূত্র জানায়, আধিপত্য বিস্তার, জমি-জমা নিয়ে বিরোধ, রাজনৈতিক বিভাজন এসব কারণে প্রায়ই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। টেঁটা, দা, লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। এতে আহত, নিহতের সংখ্যা বাড়ছে, পাশাপাশি সামাজিক স্থিতিশীলতা নষ্ট হচ্ছে।
সংঘর্ষের পরপরই ঘটছে লুটপাট, বাড়িঘর ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ। এরপর শুরু হয় মামলার পালা, গ্রেপ্তার, আদালতে হাজিরা সব মিলিয়ে দুই পক্ষই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
স্থানীয়রা জানান, “আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঝে মাঝে পদক্ষেপ নেয়, তবে অপরাধীরা বিচারের আওতায় না আসায় তারা আরও সাহস পাচ্ছে।”
সমাধানে যা করণীয়:
-
উত্তেজিত না হয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করুন।
-
দ্রুত পুলিশ বা স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো জরুরি।
-
শিশু, বৃদ্ধ, গর্ভবতী নারী ও নিরীহদের সংঘর্ষস্থল থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে হবে।
-
গুজব, উস্কানিমূলক বক্তব্য বা মিথ্যা তথ্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়াবেন না।
-
গন্যমান্য ব্যক্তি, জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকদের মাধ্যমে মীমাংসার উদ্যোগ নিতে হবে।
এ সমস্যা নিরসনে স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও সমাজপতিদের কার্যকর ভূমিকা নেওয়ার পাশাপাশি আইনি ব্যবস্থা আরও জোরালো করা জরুরি।
মিমিয়া