ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এক বিস্ফোরক দাবিতে জানিয়েছেন, সম্প্রতি ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে চলা ১২ দিনের যুদ্ধ চলাকালীন সময়েই তারা ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি’কে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। তবে "কার্যকর কোনো সুযোগ" না থাকায় সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের চ্যানেল ১৩-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কাটজ বলেন, “আমরা খামেনিকে নির্মূল করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু সে রকম কোনো কার্যকর অপারেশনাল সুযোগ ছিল না।”
কাটজ দাবি করেন, খামেনি জানতেন তাকে লক্ষ্য করে আক্রমণ হতে পারে, তাই তিনি “অত্যন্ত গভীর গোপন স্থানে আশ্রয় নেন” এবং প্রথম ধাক্কায় নিহত ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড বাহিনীর নেতাদের স্থলাভিষিক্ত কমান্ডারদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
তবে এই দাবির কোনো স্বাধীন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। যুদ্ধ চলাকালে খামেনি একাধিক ভিডিও বার্তায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন, যেখানে তিনি সক্রিয় ও দৃশ্যমান ছিলেন।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, খামেনিকে হত্যার বিষয়ে তারা যুক্তরাষ্ট্রের অনুমতির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেনি, যদিও আগে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ওয়াশিংটন সেই হত্যাচেষ্টা ‘ভেটো’ দিয়েছিল।
তবে ইসরায়েলের আরও এক বড় দাবি—তারা যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে একটি “সবুজ সংকেত” পেয়েছে, অর্থাৎ ইরান যদি তার পরমাণু কর্মসূচিতে অগ্রগতি ঘটায়, তাহলে আবারও হামলা চালাতে পারবে।
“আমি এমন কোনো পরিস্থিতি দেখছি না যেখানে ইরান আবার তার পরমাণু স্থাপনাগুলো পুনরুদ্ধার করতে পারবে,” বলেন কাটজ।
সানজানা
