ছবিঃ সংগৃহীত
মূত্রথলির ক্যান্সার সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে অনেক ভুল ও পুরোনো ধারণা এখনও বিদ্যমান, যা সময়মতো রোগ শনাক্ত ও চিকিৎসার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। চিকিৎসকরা বলছেন, রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিই পারে এমন ভ্রান্তি দূর করতে এবং আগেভাগেই রোগ শনাক্তে সহায়তা করতে।
মূত্রথলির ক্যান্সার: সংক্ষেপে জানুন
মূত্রথলির ক্যান্সার হলো মূত্র সঞ্চয়ের অঙ্গ মূত্রথলির অভ্যন্তরীণ আস্তরণে অস্বাভাবিক ও অনিয়ন্ত্রিত কোষ বৃদ্ধির ফলে সৃষ্ট এক প্রকার মারাত্মক রোগ। এ কোষগুলো মূত্রথলির স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করে এবং আশপাশের অঙ্গেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
পুরুষদের মধ্যে এটি চতুর্থ সর্বাধিক সাধারণ ক্যান্সার, তবে নারীরাও এতে আক্রান্ত হন। এই ক্যান্সার সাধারণত দুই ধরনের হয়:
-
নন-মাসল ইনভেসিভ ব্লাডার ক্যান্সার (প্রাথমিক স্তর): যেখানে ক্যান্সার কোষ মূত্রথলির প্রাচীরে প্রবেশ করেনি।
-
মাসল-ইনভেসিভ ব্লাডার ক্যান্সার (উন্নত স্তর): যেখানে ক্যান্সার কোষ প্রাচীর ভেদ করে আরও গভীরে ছড়িয়ে পড়ে।
মিথ বনাম সত্য: ভুল ধারণা ভেঙে দিন
অনেকেই ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে মূত্রথলির ক্যান্সার সম্পর্কে মত গড়ে তোলেন, যা রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসায় দেরি ঘটায়। নিচে এমন কিছু সাধারণ মিথ এবং তাদের সত্য তুলে ধরা হলো:
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অসংখ্য মত ও পরামর্শের ভিড়ে ভুল তথ্য ছড়ানো অস্বাভাবিক নয়। তবে একমাত্র সঠিক উপায় হলো—বিশ্বস্ত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া এবং বিজ্ঞানসম্মত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা। এতে যেমন ভুল ধারণার প্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে, তেমনি রোগ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণাও মিলবে।
ইমরান
