সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে বিবাহিত জীবনে টানাপোড়েন চলছে এমন গুজব ঘুরপাক খাচ্ছে একাধিক ট্যাবলয়েড ও সোশ্যাল মিডিয়ায়। অবশেষে এ নিয়ে সরাসরি মুখ খুললেন সাবেক ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা। বললেন, তাঁদের প্রতিটি পদক্ষেপ জনসমক্ষে আসে না মানেই সম্পর্কের ভাঙন ধরে গেছে, এমন ভাবা ঠিক নয়।
এনপিআরের ‘ওয়াইল্ড কার্ড’ নামের একটি পডকাস্টে উপস্থাপক র্যাচেল মার্টিনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বৃহস্পতিবার মিশেল বলেন, “এই বয়সে, এই পর্যায়ে এসে যখন বারাক আর আমি কোনো কিছু বলি তা ঠিক হোক বা ভুল তা খবর হয়। মানুষ যখন দেখে আমি স্বামীর সঙ্গে ডেট নাইট করিনি বা বাইরে বের হচ্ছি না, তখনই ধরে নেয় বিয়ে বুঝি ভেঙে যাচ্ছে!”
এ পর্যায়ে হেসে র্যাচেল মার্টিন বলেন, “তাহলে বুঝি এটা অ্যাপোক্যালিপ্স!” জবাবে মিশেলও মজা করে বলেন, “হ্যাঁ, অ্যাপোক্যালিপ্সই তো।”
‘বিকামিং’ বইয়ের লেখক এবং ‘IMO’ পডকাস্টের সঞ্চালক মিশেল আরও বলেন, “আমরা প্রতিটি মুহূর্ত ইনস্টাগ্রামে দিই না। কারণ, আমরা ৬০ বছরের কাছাকাছি। সবাই সব সময় জানবে না আমরা কী করছি, কোথায় যাচ্ছি। এটা স্বাভাবিক।”
সাক্ষাৎকারে ৬১ বছর বয়সী মিশেল হাসতে হাসতে আরও বলেন, “হ্যাঁ, হয়তো আমরা বিখ্যাত, কিন্তু আমরা ৬০। আমরা সেলফিও তুলি না।”
এই প্রথম নয়, এর আগেও মিশেল ওবামা তাঁদের দীর্ঘ ৩০ বছরের দাম্পত্য নিয়ে ছড়িয়ে পড়া গুজব সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন। বিশেষ করে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেকে মিশেল ওবামা অনুপস্থিত থাকায় তাঁদের সম্পর্কের অবনতি নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছিল।
গত মাসেও এমন এক সাক্ষাৎকারে হাসতে হাসতে মিশেল বলেছিলেন, “আমি যদি সত্যিই স্বামীর সঙ্গে সমস্যায় থাকতাম, তাহলে সেটা সবাই জানত।”
তাঁর এই বক্তব্যে বোঝা যায়, ওবামা দম্পতি তাঁদের ব্যক্তিগত জীবন যতটা সম্ভব গোপন রাখতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। আর সেই অজানা জায়গায় প্রবেশ করেই জনমনে জন্ম নেয় নানা গুজব ও জল্পনা।
দীর্ঘ রাজনৈতিক পথচলা ও শত ব্যস্ততার মধ্যেও পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বোঝাপড়া এবং সুসম্পর্ক বজায় রেখেই তাঁরা একে অপরের পাশে আছেন— সেটিই যেন আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন মিশেল ওবামা।
সূত্র:The Hill
আফরোজা
