ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৭ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২

মিডল ইস্ট আইয়ের প্রতিবেদন

পাকিস্তানের পারমাণবিক বোমা তৈরি আটকাতে চেয়েও যেভাবে ব্যর্থ হয় ইসরায়েল-ভারত

প্রকাশিত: ২৩:০২, ২৬ জুন ২০২৫; আপডেট: ২৩:০৩, ২৬ জুন ২০২৫

পাকিস্তানের পারমাণবিক বোমা তৈরি আটকাতে চেয়েও যেভাবে ব্যর্থ হয় ইসরায়েল-ভারত

ছবি: সংগৃহীত।

ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা ও যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র নজরদারি উপেক্ষা করে ১৯৭০ ও ৮০’র দশকে পাকিস্তানের বিজ্ঞানী আবদুল কাদির খানের নেতৃত্বে গোপনে পারমাণবিক বোমা তৈরির কাজ শুরু হয়। নানা বাধা পেরিয়ে ১৯৯৮ সালে সফলভাবে পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালায় পাকিস্তান।

ভারত, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল শুরু থেকেই এই প্রকল্প বানচাল করতে চেয়েছিল। এমনকি ১৯৮০’র দশকে ভারত ও ইসরায়েল পাকিস্তানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনাও করে। পরে তা বাতিল হয়।

পাকিস্তানের এই কর্মসূচিকে ‘ওসামা বিন লাদেনের মতো বিপজ্জনক’ মনে করতেন সিআইএ প্রধান। আর মোসাদ প্রধান তো কাদের খানকে হত্যা না করার জন্য অনুতপ্ত ছিলেন।

অন্যদিকে পাকিস্তানে কাদের খান জাতীয় বীর হিসেবে পরিচিত। তিনি শুধু নিজের দেশ নয়, ইরান, লিবিয়া ও উত্তর কোরিয়াকেও গোপনে পারমাণবিক প্রযুক্তি দিয়ে সহায়তা করেন।

১৯৭৪ সালে ভারতের পরমাণু পরীক্ষার পর জুলফিকার আলী ভুট্টো ঘোষণা দেন, “ঘাস খেয়ে হলেও আমরা বোমা বানাবো।” সে ডাকেই応 সাড়া দিয়ে নেদারল্যান্ডসের ইউরেনকো থেকে গোপন তথ্য নিয়ে পাকিস্তানে ফিরে আসেন কাদের খান।

১৯৮৩ সালে নেদারল্যান্ডসে তাঁর বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ ওঠে। যদিও পরে তা প্রত্যাহার করা হয়। ২০০৩ সালে লিবিয়ার মাধ্যমে তাঁর আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক ফাঁস হয়ে গেলে পশ্চিমা চাপের মুখে পড়ে পাকিস্তান সরকার তাকে গৃহবন্দি করে।

তবে নিজ দেশের নিরাপত্তার জন্য তিনি যেভাবে আত্মনিবেদন করেন, তাতে পাকিস্তানের জনগণ তাকে ‘পারমাণবিক বোমার জনক’ হিসেবে চিরস্মরণীয় করে রেখেছে।

সূত্র: মিডেল ইস্ট আই

নুসরাত

×