
ছবিঃ সংগৃহীত
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র আবার ইরানে হামলা চালায়, তবে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলোতে পাল্টা আঘাত হানবে তেহরান।
ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির পর বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে বক্তব্যে এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
৮৬ বছর বয়সী এই ধর্মীয় নেতা ১৩ জুন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গোপন আশ্রয়ে ছিলেন। সেই অবস্থান থেকেই ধারণ করা একটি ভিডিও-বার্তা বৃহস্পতিবার ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচার করা হয়। বক্তব্যে তিনি বলেন, “আমরা আমেরিকার মুখে চড় মেরেছি।”
তিনি ইঙ্গিত দেন কাতারে অবস্থিত একটি মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দিকে, যেখানে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
খামেনি দাবি করেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় কোনো বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়নি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেই হামলার প্রভাব নিয়ে ‘অতিরঞ্জন’ করেছেন।
তার ভাষায়, “আমেরিকার ঘাঁটিতে আমাদের প্রত্যাঘাত কোনো ছোট ঘটনা নয়, বরং একটি বড় ঘটনা, যা আবারও ঘটতে পারে, যদি আমাদের ওপর আবার হামলা চালানো হয়।”
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আরও বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়েছে, কারণ তারা বুঝতে পেরেছিল ইসরায়েল ধ্বংস হয়ে যাবে। এখানেও ইসলামি প্রজাতন্ত্র বিজয়ী হয়েছে।”
এসময় তিনি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘বিজয়ের’ ঘোষণা দেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের কাছে কখনোই আত্মসমর্পণ করবেন না বলে মন্তব্য করেন।
টেলিভিশনে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, খামেনি একটি গাঢ় পর্দার সামনে বসা, পাশে ইরানি পতাকা ও ইরানের প্রাক্তন নেতা রুহুল্লাহ খোমেনির ছবি।
তিনি বলেন, “যুদ্ধের শুরুতে ট্রাম্প যেভাবে আমাদের নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের দাবি জানিয়েছিলেন, তা মার্কিন উদ্দেশ্যের নগ্ন প্রকাশ। তবে আমরা কখনোই তা মেনে নেব না।”
এই বক্তব্যের মাধ্যমে স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে, যুদ্ধবিরতির পরও মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ও সংঘাতের আশঙ্কা এখনো কাটেনি। ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরও উত্তপ্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
সূত্রঃ দ্যা গার্ডিয়ান
ইমরান