ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৭ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির ভবিষ্যৎ কী?

প্রকাশিত: ২৩:০৩, ২৬ জুন ২০২৫

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির ভবিষ্যৎ কী?

ইরান বহুদিন ধরেই বলে আসছে—তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি “নাগরিক ও শান্তিপূর্ণ” উদ্দেশ্যে পরিচালিত, তবে ইসরায়েল শুরু থেকেই দাবি করে আসছে—তেহরান গোপনে পারমাণবিক বোমা বানানোর চেষ্টা করছে।

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও মার্চ ২০২৫-এ মূল্যায়ন করেছিল যে, ইরান পারমাণবিক বোমা তৈরি করছে না। অথচ জুন মাসে ট্রাম্প এর উল্টো দাবি করেন—তেহরান বোমা তৈরির দ্বারপ্রান্তে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর বিমান হামলার ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই বিতর্ক দেখা দিয়েছে—এই হামলাগুলো আদতে কতটা ক্ষতি করেছে।

দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস ও সিএনএন-এর ফাঁস হওয়া একটি প্রাথমিক গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইরানের ফোর্ডো ও নাতানজ স্থাপনাগুলোর ক্ষতি “মাঝারি থেকে গুরুতর” হতে পারে—তবে তারা জানিয়েছে, এই মূল্যায়নের ওপর আত্মবিশ্বাস কম। এর বিপরীতে ট্রাম্প দাবি করেছেন, সাইটগুলো “সম্পূর্ণ ধ্বংস” করা হয়েছে।

এই মূল্যায়নের পার্থক্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি নির্ধারণ করে যে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল আদৌ ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধিকরণ সক্ষমতাকে স্থায়ীভাবে থামাতে পেরেছে কিনা—যা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পথে সবচেয়ে বড় ধাপ।

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর প্রথমবার প্রকাশ্যে মন্তব্যে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনি বলেছেন—এই হামলায় তেমন কোনও বড় ক্ষতি হয়নি। তিনি দাবি করেন, “বেশিরভাগ পারমাণবিক স্থাপনাই ঠিক আছে, এবং ইরান তার কর্মসূচি চালিয়ে যাবে।”

ইরানের পারমাণবিক সংস্থার প্রধান মোহাম্মদ ইসলামীও বলেছেন, “পূর্ব থেকেই পুনরুদ্ধারের প্রস্তুতি ছিল, এবং উৎপাদন বা সেবা যেন বন্ধ না হয় তা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।”

যদিও ইরান দাবি করছে যে ক্ষতি নগণ্য, স্যাটেলাইট ছবি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ফোর্ডো ও নাতানজ—দুইটি প্রধান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থাপনাতেই উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে।

এ ছাড়া, ইসরায়েলের ১৩ জুন শুরু হওয়া হামলা ও গুপ্ত অভিযানে ইরানের একাধিক শীর্ষ পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন।

সানজানা

×