
ছবিঃ সংগৃহীত
ডায়াবেটিস এখন বিশ্বব্যাপী এক মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু দৈনন্দিন খাবারে সামান্য পরিবর্তন এনে এই রোগ থেকে নিজেকে কিছুটা হলেও নিরাপদ রাখা সম্ভব। গবেষণা বলছে, প্রতিদিন মাত্র একটি শসা খাওয়ার অভ্যাস ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
কেন শসা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক?
১. গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম:
শসার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) অনেক কম, অর্থাৎ এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ দ্রুত বাড়ায় না। ফলে এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি নিরাপদ খাদ্য উপাদান।
২. ফাইবার সমৃদ্ধ:
শসায় রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ডায়েটারি ফাইবার, যা হজমে সহায়তা করে এবং রক্তে গ্লুকোজের শোষণ ধীরে করে। এতে রক্তে শর্করার ওঠানামা কম হয়।
৩. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান:
শসায় রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েড ও ট্যানিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা দেহে ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি টাইপ ২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধে কার্যকর হতে পারে।
৪. পানিশূন্যতা দূর করে:
শসার ৯৫ শতাংশই পানি। এটি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।
৫. ক্যালোরি ও চিনি কম:
শসা খুবই কম ক্যালোরিযুক্ত ও চিনি-মুক্ত খাবার। ফলে এটি নিয়মিত খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, যা ডায়াবেটিস প্রতিরোধে বড় ভূমিকা রাখে।
কীভাবে খাবেন?
- প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক কাপ কুচানো শসা খাওয়া যেতে পারে।
- সালাদে, স্মুদি বা জুস আকারেও এটি গ্রহণ করা যায়।
- তবে অতিরিক্ত লবণ বা ড্রেসিং না মেশানোই ভালো।
সতর্কতা:
যদিও শসা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক, তবে এটি কখনোই একক চিকিৎসা হতে পারে না। নিয়মিত রক্তে গ্লুকোজ পরীক্ষা, চিকিৎসকের পরামর্শ ও ব্যালান্সড ডায়েটই সর্বোত্তম উপায়।
শেষ কথা:
শসা একটি সহজলভ্য, সস্তা এবং উপকারী সবজি। প্রতিদিন একটি শসা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব। স্বাস্থ্যকর জীবনের দিকে এটি হতে পারে এক ছোট্ট কিন্তু কার্যকর পদক্ষেপ।
আলীম