
ছবি:সংগৃহীত
শরীরের শক্তি ধরে রাখতে, মন ও মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে ভিটামিন বি১২ একটি অবিচ্ছেদ্য উপাদান—এমনটাই বলছেন প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অলোক চোপড়া। তিনি এই ভিটামিনকে বলছেন, "শক্তির নীরব নায়ক"।
ভিটামিন বি১২, যাকে ‘কোবালামিন’ বলা হয়, মূলত স্নায়ু ও রক্তকোষকে সুস্থ রাখে এবং শরীরে ডিএনএ তৈরিতে সাহায্য করে। এটি সাধারণত প্রাণিজ উৎস থেকেই পাওয়া যায়। তবে উদ্ভিজ্জ খাবার গ্রহণকারীদের জন্য বিশেষ সতর্কতা প্রয়োজন।
কেন দরকার ভিটামিন বি১২?
ডা. অলোক চোপড়ার ভাষায়, এই ভিটামিনের অভাবে শরীরে দেখা দিতে পারে বিভিন্ন সমস্যা:
- রক্তাল্পতা ও দুর্বলতা
- স্মৃতিভ্রংশ, বিভ্রান্তি, এমনকি ডিমেনশিয়া
- হাত-পায়ে ঝিনঝিনে অনুভব
- মানসিক অবসাদ বা উদ্বেগ
- স্নায়বিক দুর্বলতা ও ভারসাম্যহীনতা
ভিটামিন বি১২ কী কী উপকারে আসে?
- রক্তকণিকা তৈরি করে
- অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ করে
- স্মৃতি ও মনঃসংযোগ ভালো রাখে
- ক্লান্তি দূর করে
- স্নায়ুর স্বাস্থ্য রক্ষা করে
- মুড বা মানসিক অবস্থার ভারসাম্য বজায় রাখে
- শরীরে ডিএনএ তৈরিতে ভূমিকা রাখে
কোন খাবারে পাওয়া যায়?
- মাংস
- মাছ
- ডিম
- দুগ্ধজাত খাদ্য
উদ্ভিদভিত্তিক খাবার গ্রহণকারীরা এই ভিটামিন পেতে পারেন ফর্টিফায়েড (পুষ্টি সমৃদ্ধ করা) খাবার ও সাপ্লিমেন্ট থেকে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ফর্টিফিকেশন হল কোনো খাবারে অতিরিক্ত ভিটামিন বা খনিজ যোগ করার প্রক্রিয়া, যা পুষ্টি ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে।
কতটা খাবেন?
- প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য দৈনিক চাহিদা: ২.৪ মাইক্রোগ্রাম
- যাঁদের শরীরে এই ভিটামিনের ঘাটতি আছে, তাঁদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শে সাপ্লিমেন্ট খেতে হবে।
কারা বেশি ঝুঁকিতে?
- শাকাহারী ও নিরামিষভোজীরা
- যাঁরা নিয়মিত অ্যান্টাসিড বা গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খান
- ৫০ বছর বা তার বেশি বয়সীদের শরীর কম ভিটামিন শোষণ করে
কখন খাবেন?
ডা. চোপড়া বলছেন, দিনের শুরুতে খেলে এই ভিটামিন সবচেয়ে ভালোভাবে শরীর শোষণ করে এবং সারাদিনের জন্য এনার্জি দেয়।
মনে রাখবেন
এই প্রতিবেদন শুধুমাত্র সাধারণ তথ্য দেওয়ার জন্য। কোনো ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
মারিয়া