
ছবি: সংগৃহীত
হার্ট বা হৃদ্যন্ত্র আমাদের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর একটি। তবে জীবনযাত্রার অনিয়ম, মানসিক চাপ, খাদ্যাভ্যাস ও বংশগত কারণে এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি মানুষ হৃদ্রোগের ঝুঁকিতে রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু লক্ষণ রয়েছে যা অবহেলা করলে মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে।
১. বুকে চাপ বা অস্বস্তি
বুকে মাঝেমধ্যে চাপ লাগা, জ্বালাপোড়া অনুভব করা বা ভারী কিছু চেপে বসেছে মনে হওয়া—এগুলো হার্ট অ্যাটাকের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। এই অনুভূতি যদি ঘন ঘন হয় বা বিশ্রামের পরও না কমে, তাহলে তা অবহেলা করা যাবে না।
২. অল্প পরিশ্রমেই শ্বাসকষ্ট
আগে যে কাজ করতে ক্লান্তি বা শ্বাসকষ্ট হতো না, এখন অল্প হাঁটলেই যদি দম ধরে আসে—তাহলে তা হৃদ্যন্ত্রে সমস্যা থাকার ইঙ্গিত হতে পারে। হার্ট যদি ঠিকমতো রক্ত পাম্প না করে, তবে শরীর সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে।
৩. ঘন ঘন মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
হার্ট ঠিকভাবে রক্ত সঞ্চালন করতে না পারলে মস্তিষ্কে অক্সিজেনের ঘাটতি হয়। এতে মাথা ঘোরা, চোখে ঝাপসা দেখা বা হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে। এগুলো হূদরোগের সাবধানতা সংকেত।
৪. পায়ে ফোলা ও ক্লান্তিভাব
হার্ট দুর্বল হলে শরীরে রক্তচলাচলে বিঘ্ন ঘটে। এতে পায়ের পাতা বা গোড়ালিতে পানি জমে গিয়ে ফোলা দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া সবসময় ক্লান্তি অনুভব করাও হার্টের কার্যক্ষমতা হ্রাসের লক্ষণ হতে পারে।
এই লক্ষণগুলোর যেকোনো একটি থাকলে তা অবহেলা না করে দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি। জীবনধারায় পরিবর্তন আনাও প্রয়োজন—কম চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া, ব্যায়াম করা, ধূমপান ত্যাগ এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা। হৃদ্রোগ অনেক সময় নিরব ঘাতক হিসেবে কাজ করে। তাই আগেভাগে সতর্ক থাকাই সবচেয়ে ভালো প্রতিরক্ষা।
ফারুক