ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৭ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২

বাকেরগঞ্জে নদীর গ্রাসে শত শত ঘরবাড়ি, কাঁদছে পরিবারগুলো!

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাকেরগঞ্জ, বরিশাল

প্রকাশিত: ০১:১০, ২৭ জুন ২০২৫

বাকেরগঞ্জে নদীর গ্রাসে শত শত ঘরবাড়ি, কাঁদছে পরিবারগুলো!

ছবি: জনকণ্ঠ

বাকেরগঞ্জে কারখানা নদীতে বিলীন ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আতঙ্কে শত শত পরিবাবরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে কারখানা নদী। এই কারখানা নদীর অব্যাহত ভাঙনে শিয়ালঘুনী গ্রামের শত শত বসতবাড়ি, হাট-বাজার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অনেকেই কৃষিজমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে নদীর অব্যাহত ভাঙনে কবাই ইউনিয়নের শিয়ালঘুনী টেকনিক্যাল বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ এবং শিয়ালঘুনী ৭০নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখন হুমকির মুখে রয়েছে নতুন করে গড়ে উঠা শিয়ালঘুনী গ্রামের বেরিবাঁধসহ ভাঙনের কবলে পড়া শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি। যে কোনো মুহূর্তে নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে শিয়ালঘুনী গ্রামের বেরিবাঁধের। এই বেরিবাঁধ বিভিন্ন স্থানে ভেঙে নদীগর্ভে চলে গেছে।

প্রতিবছর ভাঙন স্থানে বেরিবাঁধ নতুন করে নির্মাণ করা হলেও বর্ষা মৌসুমে তা নদীতে হারিয়ে যায়। এতে কৃষকরা ফসল উৎপাদনে ব্যাপক ক্ষতির মুখোমুখি হন। এখন ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে নদীতীরবর্তী শত শত পরিবারের। শিয়ালঘুনী গ্রামের ভাঙনের শিকার পরিবারগুলো বাজারে, নদীর পাড়ে, রাস্তার পাশে বা আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।

কবাই ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দা বারেক খান জনকণ্ঠকে জানান, কারখানা নদীর অব্যাহত ভাঙনে বিলীন হচ্ছে সড়ক, বসতবাড়ি ও ফসলি জমি। সরকারিভাবে ভাঙন রোধে নেই কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা। অনেক পরিবার ভিটেমাটি হারিয়ে পথে বসেছেন। প্রতিবছর বেরিবাঁধ ভেঙে বর্ষা মৌসুমে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ে। কৃষিকাজ সঠিকভাবে হচ্ছে না। অব্যাহত ভাঙন রোধ করা না হলে খুব অল্প সময়ে শিয়ালঘুনী গ্রাম নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।

কবাই ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মো. জহিরুল তালুকদার জানান, আমাদের পূর্বপুরুষের বাড়িঘর অনেক আগেই নদীতে বিলীন হয়েছে। বাড়ির সামনে পারিবারিক কবরস্থান ছিল, সেটিও নদীতে ভেঙে গেছে। ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছি। ভুক্তভোগী এলাকাবাসী দ্রুত সময়ে নদীভাঙন রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জাবেদ ইকবাল জানান, কারখানা নদীর ভাঙন এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শহীদ

×