ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২

ত্রিশালে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু: নামাজের পর ডেকে নিয়ে গেলো বন্ধুরা, ভোরে মিললো লাশ

আবু রাইহান, ত্রিশাল (ময়মনসিংহ)

প্রকাশিত: ১৮:৪২, ২৬ জুন ২০২৫; আপডেট: ১৮:৪৩, ২৬ জুন ২০২৫

ত্রিশালে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু: নামাজের পর ডেকে নিয়ে গেলো বন্ধুরা, ভোরে মিললো লাশ

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় নূর মোহাম্মদ (২২) নামের এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যুকে ঘিরে এলাকাজুড়ে চরম চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর ভোরে গ্রামের এক ডোবার পানিতে মুখমণ্ডল ডুবে থাকা অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরিবার ও এলাকাবাসীর দাবি, এটি নিছক দুর্ঘটনা নয়, বরং পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। 

নিহত নূর মোহাম্মদ উপজেলার পশ্চিম বালিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২৫ জুন (বুধবার) মাগরিবের নামাজের পর একই গ্রামের কাওসার (১৮) এবং সাদেক (৩৫) মোহাম্মদকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকেই সে নিখোঁজ ছিল। সারারাত খোঁজাখুঁজির পর কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

২৬ জুন (বৃহস্পতিবার) ভোরবেলা পশ্চিম বালিপাড়ার আয়ুব আলী মেম্বারের ডোবার পানিতে মুখ ডুবন্ত অবস্থায় মোহাম্মদের মরদেহ দেখতে পান এলাকাবাসী। পরে খবর পেয়ে ত্রিশাল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

নিহতের পরিবার এবং স্থানীয়রা দাবি করেছেন, মোহাম্মদকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে তারা জানিয়েছেন। তারা দোষীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

মোহাম্মদের চাচাতো ভাই মাহাদী হাসান বলেন, “আমার চাচাতো ভাই সোজা-সাপ্টা ছেলে ছিল। তাকে কাওসার, সাদেকসহ চার-পাঁচজন ডেকে নিয়ে যায়। তারাই হয়তো ওকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমরা এর বিচার চাই।”

নিহত নূর মোহাম্মদের বাবা নিজাম উদ্দিন জানান, আমার ছোট ছেলে নূর মোহাম্মদ লড়ি গাড়ির লেবার হিসাবে কাজ করতো। বুধবার রাতে বের হয়ে যাওয়ার পর আর ফিরে আসেনি। সে সংসারের সমস্তকাজ করতো। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।

ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর আহাম্মদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। অভিযুক্তদের খোঁজে অভিযান চলছে।”

ঘটনার পর থেকে পশ্চিম বালিপাড়া এলাকায় শোক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। এলাকাবাসী দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে।

রিফাত

×